• হেলে পড়া নির্মীয়মাণ বহুতলের সামনে বিক্ষোভ ফ্ল্যাট-ক্রেতাদের
    এই সময় | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে যে হেলে পড়া নির্মীয়মাণ বহুতল কলকাতা পুরসভা ভেঙে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তার সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বহুতলটির বিভিন্ন ফ্ল্যাটের ক্রেতারা। মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ ওই ঘটনা ঘটে। ক্রিস্টোফার রোডে একটি বহুতল এবং তার পাশের একটি নির্মীয়মাণ বহুতল, দু’টি বাড়ি হেলে পড়ার ঘটনা সামনে আসে গত বুধবার, ২২ জানুয়ারি। কলকাতা পুরসভা জানায়, নির্মীয়মাণ বহুতলটি হেলে পাশের বাড়ির দিকে ঝুঁকে পড়ায় ওই বাড়িটিও হেলে গিয়েছে।

    তার পর ২৭ জানুয়ারি, সোমবার সন্ধ্যায় কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘ট্যাংরায় হেলে পড়া নির্মীয়মাণ বহুতলটি ভেঙে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়াররা। পুরসভা ওই বাড়ি ভাঙার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

    তবে এ দিন ওই হেলে পড়া নির্মীয়মাণ বহুতলের সামনে জড়ো হয়ে পুরসভার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ দেখানো ফ্ল্যাট–ক্রেতাদের প্রশ্ন, তাঁরা টাকা দিয়ে ফ্ল্যাট বুক করেছেন, ওই আবাসন ভেঙে ফেলা হলে তাঁরা কোথায় যাবেন? তবে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়ার পর এ দিন ওই নির্মীয়মাণ বহুতল ভাঙার কাজ পুরসভা শুরু করেছে। নির্মীয়মাণ বহুতল ভাঙার পর পুরসভার ইঞ্জিনিয়াররা পাশের হেলে পড়া ফ্ল্যাটবাড়িটির স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি খতিয়ে দেখবেন। সেই মতো বাড়িটি নিয়ে পদক্ষেপ করা হবে।

    এ দিনই মালদার এক অনুষ্ঠানে রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র বলেন, ‘ফ্ল্যাট কিনে যাঁরা ঠকেছেন, হেলে পড়া বাড়িগুলোর সেই সব ক্ষতিগ্রস্ত ক্রেতা রাজ্য ক্রেতাসুরক্ষা আদালতে আবেদন করলে তাঁরা যাতে এক বছরের মধ্যে সুবিচার পান, সেটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হবে।’

    ট্যাংরার ক্রিস্টোফার রোডে হেলে পড়া নির্মীয়মাণ বড়িটির সামনে মঙ্গলবার বেলা ১১টা নাগাদ আচমকা বেশ কয়েক জন ফ্ল্যাট–ক্রেতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ দেখান। কলকাতা পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বিক্ষোভের কারণে মঙ্গলবার দেরি হয় হেলে পড়া বহুতলটি ভাঙার কাজ। কিছুক্ষণ পর ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেয়। তার পরেই ওই বাড়ি ভাঙার কাজ শুরু হয়। এ দিন পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের তরফে ১০৯ নম্বর ওয়ার্ডে, দক্ষিণ শহরতলির চক গড়িয়া তল্লাটে একটি বেআইনি বিল্ডিং ভাঙার কাজ শুরু হয়েছে।

    রাজ্যের ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী বিপ্লব মিত্র এ দিন মালদায় জানান, ক্রেতাসুরক্ষা দপ্তরে এখনও পর্যন্ত কোনও অভিযোগ জমা পড়েনি। তবে তিনি শুনেছেন যে, হেলে পড়া বাড়ির বাসিন্দারা বলছেন, সারা জীবনের সঞ্চয় দিয়ে যে বাড়িতে তাঁরা ফ্ল্যাট কিনেছেন, সেই বাড়ি হেলে পড়েছে। এ বার সেই বাড়ির গায়ে ‘বিপজ্জনক বাড়ি’র নোটিস টাঙানো হবে, ফ্ল্যাট ফাঁকা করে সরে যেতে হবে তাঁদের। মন্ত্রীর কথায়, ‘মানুষ খবর নিয়ে, দেখেশুনেই ফ্ল্যাট কেনেন। তার পর যদি সেই ফ্ল্যাট হেলে পড়ে, সেটাও তা হলে এক ধরনের প্রতারণা।’

  • Link to this news (এই সময়)