এই সময়, শিলিগুড়ি: ফের রাতে ইস্টার্ন বাইপাসে দুর্ঘটনা। দ্রুত গতিতে আসা ছোট চারচাকা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সোজা ঢুকে পড়ল দোকানে। ঘটনায় কোনও হাতাহাতের খবর না থাকলেও দোকানটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই ইস্টার্ন বাইপাসে দুর্ঘটনা রুখতে বাড়তি আলোর ব্যবস্থা করছে পূর্ত দপ্তর। পাশাপাশি আরও বেশি গার্ড রেল বসাবে পুলিশ। পুরসভার এলাকাগুলিতে বাড়তি লাইট লাগাচ্ছে শিলিগুড়ি পুরনিগম।
মঙ্গলবার শিলিগুড়ি পুরনিগমে ট্র্যাফিক এবং পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন মেয়র গৌতম দেব। ওই বৈঠকে শিলিগুড়ি পুলিশের ডেপুটি কমিশনার ট্র্যাফিক বিশ্বচাঁদ ঠাকুর বেশ কিছু লিখিত প্রস্তাব দিয়েছেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে, আগামী বৃহস্পতিবার পুরনিগম,পুলিশ এবং পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকেরা ওই এলাকায় যৌথ পরিদর্শন করবেন।
কোথায় কত লাইট প্রয়োজন, কোন এলাকায় ডিভাইডারের মুখ বন্ধ করতে হবে, কোথায় বেশি গার্ডরেল প্রয়োজন সেই সমস্ত বিষয়গুলি দেখা হবে। মেয়র বলেন, ‘ওই এলাকায় কিছুদিন পরপরই দুর্ঘটনা ঘটছে। তাই দুর্ঘটনা কমাতে কী কী করা যায় সেগুলো আমরা খতিয়ে দেখছি।’
শিলিগুড়ির ইস্টার্ন বাইপাসে কিছুদিন পরপরই দুর্ঘটনা ঘটছে। চলতি মাসেই টিউশন থেকে ফেরার পথে দুর্ঘটনার কবলে পরে প্রাণ হারায় পাঁচ বছরের পড়ুয়া। তার আগে এবং পরেও একাধিক দুর্ঘটনা ঘটেছে। একের পর এক দুর্ঘটনার জেরে ট্র্যাফিক পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। পাশাপাশি পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভও বাড়ছিল সাধারণ মানুষের। তাই পরিস্থিতি সামাল দিতে সোমবার রাতে গৌতম দেব নিজেই ইস্টার্ন বাইপাস এলাকা ঘুরে দেখেন। এরপরই আজ বৈঠক ডাকা হয়।
জানা গিয়েছে, বাইপাস জুড়ে ৬৪ জোড়া লাইট রয়েছে। এর মধ্যে ১৪ থেকে ১৫টি লাইট খারাপ হয়ে রয়েছে। এই লাইটগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ করে পূর্ত দপ্তরের ইলেকট্রিক্যাল সেকশন। অবিলম্বে তাদের এই লাইটগুলি মেরামত করে দিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি রাস্তার এপার থেকে ওপার যাওয়ার জন্য একাধিক জায়গায় ডিভাইডারে ফাঁকা রাখা হয়েছে। সেই সময় সাধারণ মানুষের চাপে কাজের বরাত প্রাপ্ত সংস্থা ফাঁকা রাখতে বাধ্য হয়েছিল। সেই এলাকাগুলি চিহ্নিত করে বন্ধ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। পাশাপাশি আরও যে সমস্ত জায়গায় আলোর প্রয়োজন সেখানে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হবে। এর বাইরে বেশি করে রিফ্লেক্টর এবং স্পিড ব্রেকার বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।