হাতে আর বেশি সময় নেই। আর দু’দিন কাটলেই বছরের প্রথম মাস শেষ হয়ে যাবে। এই জানুয়ারি মাস শেষ হলেই ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হয়ে যাবে বাংলা বড় উদ্যোগ। এই ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ ও ৬ তারিখ বাংলায় অনুষ্ঠিত হবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। যার দিকে তাকিয়ে আছে গোটা দেশ। কারণ বাংলায় কারা বিনিয়োগ বা লগ্নি করেন সেটাই দেখার বিষয়। তবে এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন হাইভোল্টেজ হবে বলে জানা যাচ্ছে। কারণ এখানে দেশের তাবড় শিল্পদ্যোগীদের পাশাপাশি উপস্থিত থাকবেন ভুটানের রাজা জিগমে খেশর নামগেল ওয়াংচুক। এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই এখন তা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, ভুটানের রাজা জিগমে খেশর নামগেল ওয়াংচুক এখানে একটা বড় নাম। প্রতিবেশী দেশের রাজার সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ভাল সম্পর্ক। তবে এখানে শুধু রাজা আসছেন তাই নয়, অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও আসছেন। বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি এই বাণিজ্য সম্মেলনের গুরুত্ব আরও বাড়াবে বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক কর্তারা। এই বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগের দিন নবান্নে বসবে মন্ত্রিসভার বৈঠক। ওই বৈঠকে মন্ত্রিসভা একাধিক শিল্পবান্ধব নীতির ছাড়পত্র দেবে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং আম্বানি গোষ্ঠীর কর্ণধার মুকেশ আম্বানি আসবেন বলে খবর।
আর অন্য কোন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আসবেন সেটা এখনও জানানো হয়নি। এই বিষয়ে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আগে সংশ্লিষ্ট বৈঠকে চূড়ান্ত হবে অন্যান্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের নাম। দেখার বিষয়, বিজেপি শাসিত কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আসেন কিনা। যদিও বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার জানিয়ে দেবেন সব মন্ত্রী এবং সংশ্লিষ্ট আমলাদের। তখনই নামগুলি প্রকাশ্যে আসবেন। ইতিমধ্যেই প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠকও করেছেন রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। সেখানে ‘মৌ’ স্বাক্ষরিত হওয়ার বিষয় এবং বিনিয়োগের সম্ভাবনা দেখার খতিয়ান প্রস্তুত করতে বলা হয়েছে। ‘বেঙ্গল মিনস বিজনেস’ এই বার্তা তুলে ধরতে হবে।
সম্প্রতি যে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়েছে সেথানেও ওঠে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন প্রসঙ্গ। তখনই জানা যায়, ঝাড়খণ্ডের সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এই বাণিজ্য সম্মেলনে আসছেন। বাংলা–ঝাড়খণ্ড পাশাপাশি রাজ্য। সম্পর্কও ভাল। সেখানে দুই রাজ্যের মধ্যে যদি কিছু গড়ে ওঠে তাতে দুই রাজ্যের ছেলে–মেয়েদের জন্য উপকার হবে। ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে রাঁচি গিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি বিরোধী দুই রাজ্য সরকারের মুখ্যমন্ত্রীকে একই মঞ্চে দেখা যাবে। একাধিক শিল্পপতি, বিদেশের প্রতিনিধি থেকে শুরু করে ভিন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উপস্থিতিতে সরগরম হয়ে উঠবে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন।