এই সময়: মুড়িগঙ্গা নদীতে প্রস্তাবিত ‘গঙ্গাসাগর সেতু’ নির্মাণের জন্য ১৩ একর জমি অধিগ্রহণ না করে বাজার থেকে কিনে নেবে রাজ্য সরকার। রাজ্য মন্ত্রিসভা এ জন্য পূর্ত দপ্তরকে বাজার দরে জমি কেনার ছাড়পত্র দিয়েছে। ইতিমধ্যেই জেলা প্রশাসন সেতু নির্মাণের জন্য কাকদ্বীপের অংশে প্রায় আট একর এবং কচুবেড়িয়ায় পাঁচ একর জমি চিহ্নিত করেছে।
চার লেনের গঙ্গাসাগর সেতু নির্মাণে খরচ হবে ১,৪৩৮ কোটি টাকা। ডিপিআর তৈরির কাজ শেষ। এর দৈর্ঘ্য হবে প্রায় পাঁচ কিলোমিটার। বিদ্যাসাগর সেতুর আদলে এই সেতু নির্মাণ করা হবে। ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে। সময় বেঁধে এই সেতু নির্মাণ কাজ চার বছরে শেষ করতে চায় রাজ্য।
নবান্নের কর্তাদের বক্তব্য, ‘প্রতি বছর গঙ্গাসাগর মেলার সময়ে মুড়িগঙ্গায় ভেসেল পারাপারের জন্য পলি তুলতে ২৩ থেকে ২৫ কোটি টাকা খরচ হয়। ড্রেজ়িং কর্পোরেশন এই কাজটি করে। এর পরেও ভাটার সময়ে মাঝ নদীতে ভেসেল আটকে যাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ বছরও তার ব্যতিক্রম হয়নি।’
প্রথমে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে এই সেতু তৈরির প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দরের অংশিদার করার কথাও বলেছিল রাজ্য। যার পরিবর্তে কেন্দ্রকে এই সেতু তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু সেই প্রস্তাব বেশি দূর এগোয়নি।