• অধ্যাপিকাকে ক্লাসরুমেই ছাত্রের বিয়ে, ভাইরাল ভিডিয়ো নিয়ে প্রতিক্রিয়া উপাচার্যের
    এই সময় | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাসরুমে দাঁড়িয়ে বিভাগীয় প্রধানের সিঁথিতে সিঁদুর পরিয়ে, মালা বদল করে বিয়ে সারলেন প্রথম বর্ষের ছাত্র। মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বা ম্যাকাউট-এর এই ঘটনায় শোরগোল পড়েছে। কিন্তু যে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই ঘটনা, সেখানকার উপাচার্য কী বলছেন? তিনি জানান, ছুটিতে পাঠানো হয়েছে ওই অধ্যাপিকাকে। তদন্ত কমিটিও গড়া হয়েছে। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে।

    সম্প্রতি নদিয়ার হরিণঘাটায় ম্যাকাউট-এর ওই অধ্যাপিকা ও প্রথম বর্ষের ছাত্রের বেশ কয়েকটি ছবি, ভিডিয়ো (এই ভিডিয়োর সত্যতা এই সময় অনলাইন যাচাই করেনি) সামনে আসে। সেখানে অধ্যাপিকা একেবারে কনের সাজে। ঝলমলে শাড়ি, হাতে শাঁখা, কপালে টিকলি, পান পাতা নিয়ে দাঁড়িয়ে তিনি। ছাত্রের পরনে জিনস, হুডি। তবে তাঁরও গলায় রজনীগন্ধার মালা।

    আরও বেশ কয়েকজনের উপস্থিতি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে। ওই ছাত্র অধ্যাপিকাকে সিঁদুর পরিয়ে দেন, হাঁটু মুড়ে বসে এগিয়ে দেন গোলাপও। ক্লাসরুমের ভিতরে এই ধরনের ঘটনা সামনে আসতেই হইচই পড়ে যায়।

    উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী জানান, ১৬ জানুয়ারির ঘটনা। মঙ্গলবার সামনে এসেছে। উপাচার্য বলেন, ‘যে ছবি দেখলাম তাতে তো মনে হচ্ছে, সবই হয়েছে দিনের আলোয়, অন্যান্য পড়ুয়া ও ফ্যাকাল্টি মেম্বারের সামনে। তা হলে তখন কারও মনে হল না এতে অস্বস্তিকর কিছু আছে? বিষয়টা খতিয়ে দেখা দরকার। কারণ, এ ধরনের ঘটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য খুবই অস্বস্তিকর। আর উনি হেড অফ দ্য ডিপার্টমেন্ট। ছেলেটি প্রথম বর্ষের।’

    উপাচার্যের স্পষ্ট বার্তা, এটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এখানে কিছু নিয়ম আছে। এই ধরনের ঘটনায় যে সামাজিক বার্তা যায়, তা কখনওই কাম্য নয়। তিনি জানান, অধ্যাপিকাকে এখন ছুটিতে পাঠানো হয়েছে। পাঁচজন ফ্যাকাল্টি মেম্বার নিয়ে কমিটি তৈরি করে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে ওই ছাত্রের বিষয়ে তাঁরা বেশি উদ্বিগ্ন বলে জানান। এ নিয়ে ওই ছাত্রের মা, বাবার সঙ্গে কথাও হয়েছে।

    যদিও ইতিমধ্যেই এই ভিডিয়োর সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কেউ কেউ বলছেন, এই বিয়ে নাকি প্রজেক্টের অংশ। এ বিষয়ে উপাচার্য তাপস চক্রবর্তী বলেন, ‘উনি বলছেন এটা সাইকো ড্রামা। যদি তাও হয়, অনেক রকম টপিক আছে। এ রকম একটা সেনসিটিভ টপিক নিয়ে ড্রামা করতে হলে তো কর্তৃপক্ষের অনুমতি নেওয়ার দরকার ছিল। মা, বাবারা এখানে ছেলে মেয়েদের পড়তে পাঠান। আমাদের দায়িত্ব অনেক।’

  • Link to this news (এই সময়)