এই সময়, আরামবাগ: এ বার ‘দুয়ারে সরকার’ ক্যাম্প থেকে দেওয়া হচ্ছে চাকরিও! অভিনব এই উদ্যোগ নিল আরামবাগ মহকুমা। এই প্রথমবার এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে সরাসরি সাতজনকে শংসাপত্র এবং চাকরির নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে। চাকরি পেয়ে উল্লসিত প্রার্থীরা মঙ্গলবার আরামবাগে দুয়ারে সরকার প্রকল্পে উপস্থিত ছিলেন এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের ডেপুটি ডিরেক্টর ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত, আরামবাগের এসডিও রবিকুমার মিনা–সহ একাধিক আধিকারিক।
প্রথম পর্যায়ে এই মঞ্চ থেকে পুরুষ ও মহিলা মিলিয়ে মোট সাতজন কে চাকরি দেওয়া হলো। আরামবাগ মহকুমা এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্ক থেকে সাতজনের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে শংসাপত্র ও চাকরির অফার লেটার। এসডিও এবং এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের ডেপুটি ডিরেক্টর নিজের হাতে এই সাতজনকে দুয়ারে সরকারের ক্যাম্প থেকে চাকরির অফার লেটার দিয়েছেন। এরা প্রত্যেকেই নামী বেসরকারি সংস্থার সম্মানীয়পদে নিয়াগপত্র পেয়েছেন। আধিকারিকরা জানান, অনলাইনে এই এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম নথিভুক্ত করতে হয়। সেই তালিকা থেকে হয় সেখান থেকে বাছাই পর্বের কাজ। সেই প্রক্রিয়া মেনে প্রথম পর্যায়ে সাতজনের হাতে এই নিয়াগপত্র দেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতে এ ভাবেই আরও অনেক কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিনই চাকরির নিয়োগপত্র হাতে নিয়ে আনন্দে ফেটে পড়েন প্রিয়া পাল নামে এক মহিলা প্রার্থী। তিনি বলেছেন, ‘এর চেয়ে বড় খুশি আর কিছু হতে পারে না। খুব আনন্দ হচ্ছে। জুনিয়র অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেব। সবে মাত্র হাতে অফার লেটার পেয়েছি। এসডিও স্যর এবং এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের ডেপুটি ডিরেক্টর ম্যাডাম নিজের হাতে এই অফার লেটার তুলে দিয়েছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমি যখন বিষয়টি সম্পর্কে জানতে পারি, তখনই অনলাইনে ফর্ম পূরণ করেছিলাম। আমি একটি ফুড কোম্পানির জুনিয়র অফিসার হিসেবে কাজে যোগ দেব।’
আর এক চাকরি পাওয়া প্রার্থী বিশাল দাস বলেন, ‘খুব আনন্দ হচ্ছে। ধাপে ধাপে সমস্ত নিয়ম মেনে এই চাকরিটা পেলাম।দারুণ অনুভূতি হচ্ছে চারকিটা পাওয়ার পরে।’ এসডিও রবিকুমার মিনা বলেন, ‘এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে প্রার্থীদের নাম নথিভুক্ত করা হয়। তার পরে কিছু নির্দিষ্ট পদ্ধতি মেনে প্রার্থীদের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় নিয়োগ করা হয়। আমার বিশ্বাস, এই পদ্ধতিতে ভবিষ্যতে কর্মসংস্থানের মাত্রা আরও বাড়বে।’ এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কের ডেপুটি ডিরেক্টর ইন্দ্রাণী সেনগুপ্ত বলেন, ‘আমরা সকলের কাছেই অনুরোধ করছি, অনলাইনে এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে নাম নথিভুক্ত করুন। এর পরে যে নিয়ম আছে, সেই মতো বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় চাকরি দেওয়া হবে। প্রথম পর্যায়ে সাতজনকে চাকরির নিয়োগপত্র তুলে দেওয়া হল। ওঁরাও খুশি হয়েছেন। আমরাও এ ভাবে চাকরির ব্যবস্থা করে দিতে পেরে আনন্দিত।’