এই সময়, মছলন্দপুর: পদ্মশ্রী প্রাপকদের নাম ঘোষণার সময় দিল্লিতে ছিলেন মছলন্দপুরের ঢাক শিল্পী গোকুলচন্দ্র দাস। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ঢাক বাজানোর জন্যই রাজধানীতে ছিলেন গোকুল। রাজধানীতে বসেই শুনেছিলেন কেন্দ্রের ঘোষণা। প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠান শেষ করে মঙ্গলবারই মছলন্দপুর ফিরেছেন পদ্মশ্রী গোকুল।
এ দিন মছলন্দপুর স্টেশনে নামতেই সুদৃশ্য র্যালি আর ঢাকের বাদ্যিতে তাঁকে স্বাগত জানান তাঁরই শিষ্য ঢাকিরা। মছলন্দপুর স্টেশন থেকে তাঁর বিধানপল্লির বাড়ি পর্যন্ত পদ্মশ্রীকে নিয়ে আনন্দে মাতলেন তাঁর শিষ্য থেকে শুভানুধ্যায়ী, বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন থেকে মছলন্দপুরের বাসিন্দারা। বাড়িতে পৌঁছনোর পরেও পদ্মশ্রী গোকুলচন্দ্রকে সংবর্ধনা জ্ঞাপন করা হয়।
মঙ্গলবার দুপুর একটায় গোকুল পৌঁছনোর আগে থেকেই মছলন্দপুর স্টেশনে হাজির হয়েছিলেন মহিলা এবং পুরুষ ঢাকিদের দল।বিভিন্ন ক্লাব সংগঠন থেকে বহু সাধারণ মানুষও হাজির ছিলেন প্ল্যাটফর্মে। সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানী থেকে হাওড়ায় নামেন গোকুল। দুপুর একটায় ট্রেন ধরে পৌঁছন মছলন্দপুর। ট্রেন থেকে নামতেই তাঁর নামে জয়ধ্বনি ওঠে প্ল্যাটফর্ম থেকে।
তাঁর ঢাকের বোলে মুগ্ধ হয়েছেন অনেকেই।বাংলার প্রাচীন সংস্কৃতির ঢাক বাজিয়ে দেশে তো বটেই, সুনাম কুড়িয়েছেন বিদেশেও। মানুষের এই আবেগে শিল্পী নিজেও আপ্লুত হয়ে পড়েন। ঢাক শিল্পকে বাঁচিয়ে রাখতে আগামী দিনে ঢাকি একাডেমি গড়তে চান গোকুল। তিনি বলেন, ‘পদ্মশ্রী পাব কোনও দিন আশা করিনি। কিন্তু ভারত সরকার যেভাবে প্রাচীন এই ঢাক শিল্পকে মাথায় রেখে আমাকে পদ্মশ্রী খেতাব দিয়েছে, তাতে আমি আপ্লুত। ঢাকি একাডেমি তৈরির জন্য আমি প্রথমে রাজ্য সরকারের কাছে আবেদন করব। এর জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রের সরকারের সহযোগিতা প্রয়োজন।’