• বহরমপুরে উদ্ধার তৃণমূল নেতার নিথর দেহ, খুন না আত্মহত্যা? তদন্ত শুরু পুলিশের ...
    আজকাল | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: বুধবার সকালে বহরমপুর শহরের রানিবাগান এলাকায় মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের অন্যতম প্রাক্তন শীর্ষ নেতা তথা বহরমপুর পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি সুকুমার অধিকারীর প্রাণহীন দেহ উদ্ধারের ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল ছড়িয়েছে। পুলিশ সূত্রের খবর, প্রাথমিক তদন্তে তাদের অনুমান, অ্যাসিড খেয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। মৃতের শরীরের পাশ থেকে অ্যাসিডের বোতল উদ্ধার করেছে পুলিশ। মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ইতিমধ্যে দেহটি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত্যুকালে সুকুমারবাবুর বয়স হয়েছিল ৬৮ বছর। তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কয়েক বছর ধরে রানিবাগান এলাকার একটি বাড়িতে পরিবার নিয়ে থাকতেন সুকুমার। আজ সকালে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি নামী হোটেলের পাশে সরু গলির মধ্যে সুকুমারবাবুকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করেন স্থানীয় লোকজন। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। 

    তবে কী কারণে সুকুমারবাবু আত্মঘাতী হলেন তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছে জেলার শীর্ষ তৃণমূল নেতৃত্ব। নাম না প্রকাশের শর্তে একাধিক তৃণমূল নেতা জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ ছিলেন সুকুমার। এর পাশাপাশি সম্প্রতি তাঁর একটি বড় অপারেশন হয়েছিল। এই কারণে মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। সূত্রের খবর, সাম্প্রতিক সময়ে বাজারে বেশ বড় অঙ্কের দেনাও হয়ে গিয়েছিল তাঁর। কিন্তু সেই টাকা তিনি সময় মতো শোধ করতে পারছিলেন না। ধার নেওয়া টাকা শোধ করার জন্য তাঁর উপর চাপ ছিল বলে জানা গিয়েছে। 

    তবে কী কারণে সুকুমারবাবু আত্মঘাতী হতে পারেন, সেই বিষয়ে তাঁর পরিবারের তরফ থেকে এখনও কিছু জানানো হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেসের বহরমপুর-মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অপূর্ব সরকার বলেন, 'অত্যন্ত ভদ্র, সজ্জন এবং কম কথার মানুষ ছিলেন সুকুমার। তাঁর অকাল প্রয়াণে আমরা সকলেই শোকাহত।'
  • Link to this news (আজকাল)