• 'তোমার হাতে কী হয়েছে?' বাবুলকে হঠাত্‍ প্রশ্ন মমতার, কেন?
    আজ তক | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • ভাঙা হাতে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ের। গত সোমবার, ২৭ জানুয়ারি ছিল রাজ্য মন্ত্রিসভার গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। বৈঠকে নদিয়ার করিমপুরে বিএসএফকে জমি দান, পরিবহণ দফতরে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ, বাসের সংখ্যা বাড়ানো-সহ একাধিক বিষয়ে সিদ্ধান্ত ও আলোচনা হয়। এই মন্ত্রিসভার বৈঠকের শেষে হঠাৎই মুখ্যমন্ত্রীর নজর পড়ে রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্য বাবুল সুপ্রিয়র হাতের দিকে। খেলতে গিয়ে হাতের কব্জি ভেঙে গিয়েছে বাবুল সুপ্রিয়র। প্লাস্টার করা হাত নিয়েই এদিন মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেন বাবুল। 

    মমতা এরপরই বাবুলকে জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমার হাতে কী হয়েছে?’ এরপর বাবুল মুখ্যমন্ত্রীকে জানান, খেলতে গিয়ে তাঁর হাতের কব্জি ভেঙে গিয়েছে। তবে আঘাত গুরুতর না হওয়ায় অস্ত্রোপচার করতে হয়নি। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী বলেন,  “গান গাও, খেলো আর যাই করো, সাবধানে থেকো।” প্রসঙ্গত, এদিনের বৈঠকে সদ্য শেষ হওয়া গঙ্গাসাগর মেলা সুষ্ঠু ভাবে পরিচালনার জন্য পুলিশ ও রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ কর্তাদেরও অভিনন্দন জানান। একইসঙ্গে সরস্বতী পুজোয় মন্ত্রীদের নিজ নিজ এলাকায় নজরদারির নির্দেশ দেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, সকলে এলাকা দেখে রাখবেন, সতর্ক থাকবেন। কোথাও কোনও সমস্যা হলে প্রশাসনকে জানাবেন। 

    প্রসঙ্গত, নতুন বছরের ৪ জনুয়ারি এ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোলা চিঠি দিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি দাবি করেছিলেন, ১৮টি ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে বিএসএফকে কোনও জমি হস্তান্তর করা হয়নি। আর ১৭টি সীমান্ত ফাঁড়ি তৈরি করার জন্য জমি অধিগ্রহণের প্রক্রিয়া মুলতুবি হয়েছে। তাই কেন্দ্রীয় বরাদ্দ পাঠানো বন্ধ হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, অনুপ্রবেশের আবহেই চেক পোস্টের জন্য নদিয়ার করিমপুরে ০.৯ একর জমি বিএসএফ–কে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। অভিযোগ উঠেছে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে রাজ্যে থাকা ২২০০ কিলোমিটার সীমান্ত পথের মধ্যে ৫৯৬ কিলোমিটারে কাঁটাতারের বেড়া নেই। জানা গিয়েছে সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, মন্ত্রিসভার বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  

    নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে আরও একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্র মারফৎ খবর। সূত্রের খবর, পরিবহণ দফতরে অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন রাস্তায় বাস নেই বলে। সূত্রের খবর, বাস থাকলেও চালক এবং কন্ডাক্টরের সংখ্যা পর্যাপ্ত ছিল না। তাই মন্ত্রিসভার বৈঠকে ৮০০-র বেশি অস্থায়ী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও খবর। পাশাপাশি বাস বাড়ানোর কথাও চলছে। একইসঙ্গে রাজ্য পুলিশ-সহ একাধিক দফতরে স্থায়ী এবং অস্থায়ী কর্মী নিয়োগ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে প্রবল।

    ১২ ফেব্রুয়ারি বাজেট পেশ করবেন রাজ্যের অর্থ দফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষের জন্য বাজেট পেশ করবেন তিনি। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ। আর ঠিক তারপর রাজ্য বাজেট। আর সেই বাজেটেই বাজিমাৎ করতে চাইছে রাজ্য সরকার।
  • Link to this news (আজ তক)