ই. গোপী: কথায় আছে, 'মুখে নুড়ো জ্বেলে দেওয়া'! কেউ কারও উপর খুব রেগে গেলে এ কথা বলে থাকেন বটে! এর অর্থ হল-- মুখে আগুন দেওয়া। যেটা জীবন্ত অবস্থায় কখনই সম্ভব নয়-- তা যিনি বলেন আর যিনি শোনেন, তাঁরা উভয়েই তা বিলক্ষণ জানেন! তবে কিনা, ঝগড়াঝাঁটির সময়ে ওটা রাগপ্রকাশের একটা লব্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে! কিন্তু প্রবাদ-প্রবচন কি আর সেই অর্থে সত্য হয় নাকি? হ্যাঁ, বাস্তবে প্রায় সেটাই ঘটল। কোথায়?
ঘটনাস্থল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং। সেখানে মদ্যপ অবস্থায় তর্কাতর্কি বাধে স্বামী-স্ত্রীর। তখন স্বামীর মুখে আগুন লাগিয়ে দেয় স্ত্রী! এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় সবং এলাকায়। মদ্যপ অবস্থায় তর্কাতর্কি জেরে স্বামীর মুখে আগুন লাগিয়ে দেয় স্ত্রী। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সবং ব্লকের অন্তর্গত দশকগ্রাম অঞ্চলের হরেকৃষ্ণ বুথ এলাকায়।
ঘটনায় আহত হয়েছেন মিলন ভক্তা নামে এক ব্যক্তি। জানা গিয়েছে, মিলন ভক্তা নামে ওই ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর স্ত্রী রেখা ভক্তার তর্কবিতর্ক বাধে। তখনই রান্নার সময় রেখা উনানের জ্বলন্ত জ্বালানি নিয়ে গিয়ে তার স্বামী মিলনের মুখে লাগিয়ে দেয়। এর জেরে মিলনের মুখমণ্ডলের কিছুটা অংশ পুড়ে যায়। পুড়ে যায় চোখ ও গালের কাছে কিছুটা অংশ। ঘটনার পর স্থানীয় চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা করান ওই ব্যক্তি। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কোনও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়নি।
অন্য দিকে, এই ঘটনার জের ধরে ফের নতুন করে আবগারি দফতরের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। প্রসঙ্গত সবং ব্লকের দশকগ্রাম দাঁদরা, দেভোগ-সহ একাধিক এলাকায় গত কয়েক বছর ধরে চোলাই মদের রমরমা চলছে বলে অভিযোগ। চোলাই মদের ভাঁটিতে গিয়ে প্রতিনিয়ত নাবালক, যুবক থেকে শুরু করে বৃদ্ধরা মদ্যপান করছেন। আর অধিকাংশ দিনেই এঁরা সেখান থেকে ফিরেই বাড়িতে গোলমাল করছেন। স্ত্রী-সহ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ছেন তাঁরা। এই সব তর্কাতর্কির জেরে প্রাণও গিয়েছে তরতাজা যুবকের, আছে এমন নজিরও। এর পরেও হুঁশ ফিরেনি আবগারি দফতরের-- অন্তত এমনই অভিযোগ স্থানীয়দের। তাঁদের অভিযোগ, এই বিষয়ে সবং সার্কেল আবগারি দফতরকে বারবার জানানো সত্ত্বেও আবগারি দফতরের আধিকারিকেরা এ বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেননি!