• ‘ভুয়ো’ নথি দিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান, জানাজানি হতেই ওবিসি সার্টিফিকেট ও পদ খোয়ালেন মালদহের লাভলি!
    প্রতিদিন | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • বাবুল হক, মালদহ: বাংলাদেশে অশান্তির আবহে শিরোনামে উঠে এসেছিলেন মালদহের লাভলি খাতুন। অভিযোগ ছিল, বাংলাদেশি হওয়া সত্ত্বেও ভুয়ো সার্টিফিকেট বানিয়ে পঞ্চায়েত প্রধান হয়েছেন ওই মহিলা। জল গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্ত। এসবের মাঝেই নাকি লাভলির ওসিবি সার্টিফিকেট বাতিল করেছে মহকুমা প্রশাসন। এমনটাই জানিয়েছেন মালদহ জেলা পরিষদের এক সদস্যা। এখানেই শেষ নয়, এর ফলে পঞ্চায়েত প্রধানের পদও খোয়াতে চলেছেন লাভলি।

    গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে তৃণমূলের লড়াই করেছিলেন লাভলি খাতুন ওরফে নাসিয়া শেখ। জিতেও যান তিনি। লাভলি পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার পর তাঁর প্রতিপক্ষ রেহানা সুলতানা কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন। দাবি করা হয়, লাভলি খাতুন বাংলাদেশি। অভিযোগ করা হয়, পাসপোর্ট-ভিসা ছাড়াই ভারতে আসেন তিনি। থাকতে শুরু করেন মালদহে। পরিচিতিকে কাজে লাগিয়ে ২০১৫ সালে ভোটার আইডি তৈরি করেন। পরবর্তীতে ভুয়ো বার্থ সার্টিফিকেটও তৈরি করা হয়। সেগুলোকে কাজে লাগিয়েই মালদহে ঘাঁটি গেড়ে বসেন লাভলি। এরপর তৃণমূলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ায়, ভোটে লড়াই করে পঞ্চায়েতের প্রধান হন। গোটা ঘটনায় হাই কোর্টে মামলা হলেও কোনও সুরাহা হয়নি। আদালতের তরফে একাধিকবার তলব করা হলেও লাভলি হাজিরা দেননি বলে অভিযোগ ওঠে। বাংলাদেশ অশান্ত হতেই লাভলি ফের চর্চায় চলে আসেন।

    মালদহ জেলা পরিষদের সদস্যা মর্জিনা খাতুনের দাবি, ইতিমধ্যেই লাভলির ওবিসি সার্টিফিকেট বাতিল করে দিয়েছে মহকুমা প্রশাসন। ২০২৩ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনে যে আসনে লাভলি জিতেছিলেন সেটি ওবিসি সংরক্ষিত ছিল। ফলে সার্টিফিকেট বাতিল হওয়ায় লাভলির পদও গিয়েছে বলে দাবি মর্জিনার। তবে এবিষয়ে প্রশাসনের তরফে এখনও কোনও তথ্য মেলেনি। মর্জিনা খাতুনের দাবি, বর্তমানে যিনি উপপ্রধানের পদে রয়েছেন তিনিই হতে পারে প্রধান। উল্লেখ্য, আগামী ২ ফেব্রুয়ারি আদালতে লাভলির মামলার পরবর্তী শুনানি।
  • Link to this news (প্রতিদিন)