• উত্তর প্রদেশ থেকে শিক্ষিত যুবকরা অস্ত্র নিয়ে কেন এসেছিল কলকাতায়?
    হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
  • সোমবার শিয়ালদা থেকে গ্রেফতার হয়েছে ৫ সশস্ত্র যুবক। উত্তর প্রদেশ থেকে দুদিন আগে তারা কলকাতায় আসে। পরে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ তাদের গ্রেফতার করে। এখন প্রশ্ন উঠছে কী উদ্দেশ্যে তারা কলকাতা এসেছিল। সম্প্রতি রাজ্যের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলরের উপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। তার মধ্যে মালদায় তৃণমূল কাউন্সিলর খুনে বিহারের যোগও পাওয়া গিয়েছে। এই অবস্থায় উত্তরপ্রদেশে থেকে আসা দুষ্কৃতীদের কি সেই ধরনের কোনও পরিকল্পনা ছিল? নাকি অন্য উদ্দেশ্যে ছিল? তাই নিয়ে ধন্দে পুলিশ। 


    কলকাতা পুলিশের এসটিএফ যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করেছে তাদের নাম হল- রাহুল যাদব, শিবশঙ্কর যাদব, আদিত্য মৌর্য, দিবান গুপ্তা এবং রুকেশ সাহানি। মঙ্গলবার তাদের ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হলে তাদের ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। যদিও যুবকরা কলকাতায় যে অপরাধ সংগঠিত করতে এসেছিল সে বিষয়ে নিশ্চিত পুলিশ। তবে কী ধরনের অপরাধ করার পরিকল্পনা ছিল? তা এখনও পুলিশের কাছে অজানা। এর জন্য পুলিশ তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে। জানার চেষ্টা করা হচ্ছে, তারা কী অপরাধ ঘটাতে চায়ছিল। 

    পুলিশ তদন্তে জানতে পেরেছে, যে ধৃতেরা উত্তর প্রদেশের কানপুর এবং বারাণসীর বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। তারা কেউ বি কম, আবার কেউ বি টেক পাশ। এই দলের মূল পান্ডা রুকেশ হল বিটেক পাশ। জানা গিয়েছে, সেই বাকিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে একজোট হয়ে ট্রেনে করে হাওড়া হয়ে কলকাতায় আসে। কলকাতায় আসার পর শিয়ালদার বৈঠকখানা রোডে একটি হোটেলে তারা আশ্রয় নিয়েছিল। দিন দুয়েক থাকার পর বৈঠকখানা রোড সংলগ্ন ওই হোটেল থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি আগ্নেয়াস্ত্র এবং মোবাইল উদ্ধার হয়েছে। রুকেশের কাছ থেকে ট্রেনের টিকিট পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও, হোটেলে থাকার তথ্য পাওয়া গিয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছ থেকে যে পিস্তল পাওয়া গিয়েছে তাতে ‘মেড ইন ইতালি’ লেখা রয়েছে। একইসঙ্গে প্রশ্ন উঠেছে কলকাতায় তাদেরকে কেউ সাহায্য করছিল কিনা। সে বিষয়টিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। 

    উল্লেখ্য, সম্প্রতি কলকাতা থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তার কাছ থেকে প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছিল। এই অবস্থায় কলকাতা পুলিশের নজরদারি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও সে কথা মানতে রাজি নয় কলকাতা পুলিশ। এ বিষয়ে কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, সারা বছর ধরেই কলকাতা পুলিশ নজরদারি চালিয়ে থাকে। বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি চালানো হয়। অপরাধীদের তথ্য পাওয়ার জন্য কলকাতা পুলিশের বিভিন্ন বিভাগ কাজ করে থাকে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)