ক্ষুদিরাম কলেজে TMCP-র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গ্রেফতার ২, বিক্ষোভ থামালেন কুণাল
হিন্দুস্তান টাইমস | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫
কলেজেও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের দুই গোষ্ঠীর দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এল। ন্যাকের প্রস্তুতি বৈঠক চলছিল। কিন্তু, অভিযোগ উঠেছে সেই বৈঠকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে দুই ছাত্রকে রাখা হয়েছিল। তাই নিয়ে অশান্ত হয়ে উঠল বড়তলার ক্ষুদিরাম বোস সেন্ট্রাল কলেজ। প্রিন্সিপালের ঘরে গিয়ে বিক্ষোভ দেখান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। সেই সময় বিষাক্ত কিছু স্প্রে করার অভিযোগ ওঠে বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে। তাতে ছাত্র পরিষদের অন্য গোষ্ঠীর সদস্যদের কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই ঘটনায় প্রিন্সিপালের অভিযোগের ভিত্তিতে তিনজনকে আটক করে পুলিশ। পরে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ কলেজে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
অভিযোগ ওঠে এদিনের বৈঠকে এক গোষ্ঠীর পড়ুয়াদের রাখা হলেও অন্য গোষ্ঠীর ছাত্রদের ডাকা হয়নি। তাই নিয়ে ছাত্র পরিষদের একাংশ প্রিন্সিপালের ঘরের বাইরে বিক্ষোভ সেখান। স্লোগান দিতে শুরু করেন। সেই সময় ছাত্র পরিষদের অন্য গোষ্ঠীর ওপর বিষাক্ত কিছু স্প্রে করার অভিযোগ ওঠে। পরে প্রিন্সিপালের অভিযোগের ভিত্তিতে ৩ জনকে আটক করে পুলিশ। যদিও বিক্ষুব্ধ পড়ুয়াদের বক্তব্য, তাদের কেউ এরকম কাজ করেনি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধির চাপে প্রিন্সিপাল মিথ্যা অভিযোগ করে তিনজনকে আটক করিয়েছেন। পরে থানা পর্যন্ত বিক্ষোভ দেখান ছাত্র পরিষদের ওই গোষ্ঠীর সদস্যরা। তাদের বক্তব্য, প্রিন্সিপালের ঘরে সিসিটিভি রয়েছে। সেই সিসিটিভি পরীক্ষা করলে বোঝা যাবে কারা এই কাজ করেছে। তারা প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন।
তাদের আরও অভিযোগ, যারা নির্দোষ তাদের আটক করা হয়েছে। আর যারা এই কাজ করেছে তারা বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অভিযোগ উঠেছে, স্প্রে করার পরে চোখ জ্বালা করতে শুরু করে। তাতে বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাদের আরও অভিযোগ পুলিশকে ব্যবহার করা হচ্ছে।
পরে খবর পেয়ে সেখানে পৌঁছান কুণাল ঘোষ। তিনি সেখানে গেলে পুলিশ একজনকে ছেড়ে দেয়। তবে দুজনকে গ্রেফতার করে। তিনি বিক্ষোভ থামান এবং পুলিশের নিরপেক্ষ তদন্তে ভরসা রাখার কথা বলেন। তিনি জানিয়েছেন, ’আমরা কলেজের অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে হস্তক্ষেপ চাইনা। কিন্তু যদি বিনা দোষে ছাত্র পরিষদের সদস্যরা ধরা পড়ে তাহলে তাদের পাশে থাকাটা আমাদের কর্তব্য।’ একই সঙ্গে তিনিও প্রিন্সিপালের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলেছেন। এই ঘটনায় নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন কুণাল। পুলিশ এই ঘটনায় প্রিন্সিপালকে তলব করার পাশাপাশি সিসিটিভি ফুটেজে জমা দিতে বলেছে।