• গুলেন বারি সিনড্রোমে রাজ্যে ফের প্রাণহানি, মৃত্যু জগদ্দলের শিশুর
    প্রতিদিন | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • অর্ণব দাস, বারাকপুর: গুলেন বারি সিনড্রোমে রাজ্যে ফের প্রাণহানি। এবার মৃত্যু হল জগদ্দলের আঁতপুরের বাসিন্দা বছর দশেকের এক শিশুর। এর আগে বারাসতের দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়ার মৃত্যু হয়। গুলেন বারি সিনড্রোমের দিকে নজর রেখেছে রাজ্য স্বাস্থ্যদপ্তর। সাধারণ মানুষকে অযথা আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

    পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতের নাম দেব কুমার সাউ। ১৪ জানুয়ারি তার সর্দি কাশির সমস্যা দেখা দিয়েছিল। পরেরদিন শিশুর গিলে খাওয়ার সমস্যা দেখা দেয়। তাই বারাকপুরের এক শিশু রোগ বিশেষজ্ঞর কাছে যান পরিবারের লোকজন। চিকিৎসক কিছু ওষুধ লিখে এসএসকেএম হাসপাতালে দেখানোর পরামর্শ দেন। সেদিনই এসএসকেএমে দেব কুমারকে দেখানো হয়। তারপর বাড়ি চলে আসে শিশু। কিন্তু কয়েকদিনের মধ্যে শরীর আরও খারাপ হয় দেবের। গত ১৭ জানুয়ারি তাকে কলকাতার মানিকতলার বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরেরদিন অবস্থার আরও অবনতি হয়। ১৮ জানুয়ারি থেকে আইসিইউতে ভর্তি করে শিশুর চিকিৎসা শুরু হয়। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। গত ২৬ জানুয়ারি মৃত্যু হয় তার।

    মৃতের আত্মীয় গোবিন্দ সাউ বলেন, “দেব কুমারের জল খেলে নাক দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছিল। বিসি রায় হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর আমাদের জানায় গলায় প্যারালাইসিস হয়েছে। আইসিইউতে ভর্তি রেখে ওর চিকিৎসা চলে। গত ২৪ তারিখ হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, শিশুর চোখের মণি স্থির হয়ে গিয়েছে। অবস্থা এতটাই খারাপ যে ওষুধ কাজ করছে না। মৃত্যুর কারণ হিসাবে জিবি সিনড্রোমে আক্রান্ত হওয়ার কথা হাসপাতাল আমাদের জানায়নি। কিন্তু ডেথ সার্টিফিকেটে সেকথা উল্লেখ আছে।”

    আমডাঙার পর জগদ্দল গুলেন বারি সিনড্রোমে পরপর দুজনের মৃত্যুর খবর জানাজানি হতে নড়েচড়ে বসে জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর। তড়িঘড়ি মৃতের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ করেন জেলা স্বাস্থ্যদপ্তরের আধিকারিকরা। জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, সাউ পরিবারের আরও দুজন সন্তান রয়েছে। তাদের কোনও উপসর্গ পাওয়া যায়নি বলেই জানায় জেলা স্বাস্থ্যদপ্তর।
  • Link to this news (প্রতিদিন)