জুতো দিয়ে হামলাকারীকে লাথি মারলে তাতে সৃষ্ট বিদ্যুতের ঝটকা লাগবে হামলাকারীর শরীরে। জুতোতে রয়েছে একটি সেন্সর ডিভাইসও। সেই ডিভাইস জিপিএস ট্র্যাক করে লোকেশন সংক্রান্ত তথ্য দিতে পারবে অভিভাবকদের মোবাইলে। অভিনব ‘স্মার্ট জুতো’ বানিয়ে তাক লাগাল নদিয়ার দশম শ্রেণির ছাত্র।
নদিয়ার শান্তিপুর এমএন উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র ঋত্বিক সাহা। মাত্র ৩ হাজার টাকা খরচ করে এরকম অভিনব জুতো বানিয়েছে সে। কিন্তু দশম শ্রেণির ছাত্র এরকম প্রযুক্তি শিখল কোথা থেকে? ঋত্বিক জানিয়েছে, মূলত সমাজমাধ্যমে বিভিন্ন ভিডিয়ো দেখে এবং Chat GPT-র সাহায্য নিয়েই এই জুতো বানিয়েছে সে।
ঋত্বিক জানায়, জুতোটি একটি অ্যাপের সঙ্গে কানেক্ট করা যাবে। বাড়ি থেকে বের হলেই জুতো যে ব্যবহার করবে, তার অভিভাবকের মোবাইলে লোকেশন আপডেট হবে। এছাড়াও বিপদের মুহূর্তে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে অ্যালার্ট চলে যাবে নির্দিষ্ট মোবাইলে। তাঁর কথায়, ‘মহিলা, পুরুষ যে কেউ এই জুতো ব্যবহার করতে পারেন। বিপদের মুহূর্তে বাঁচার জন্য কিছুটা সহায়তা করবে এই জুতো। আত্মরক্ষার কথা ভেবেই এই জুতো বানিয়েছি।’
উল্লেখ্য, কয়েকবছর আগে কর্নাটকের এক স্কুল ছাত্রীও এই ধরনের জুতো বানিয়েছিল। ধর্ষণকারীদের হাত থেকে মহিলাদের বাঁচানোর জন্যেই দশম শ্রেণির ছাত্রী বিজয়লক্ষ্মী বিরাদর নামে ওই ছাত্রী প্রায় একই ধরনের জুতো বানিয়েছিল। বাংলার এক ছাত্রের এই কর্মকাণ্ডে খুশি তাঁর স্কুলের শিক্ষকরাও। ঋত্বিক আগামীতে দেশের জন্য ভালো কাজ করুক সেটাই চাইছেন তার পরিবারের সদস্যরাও।