এই সময়: মহাত্মা গান্ধীর প্রয়াণ দিবসকে ‘শহিদ দিবস’ হিসেব পালন করছে রাজ্য সরকার। সারা রাজ্যে এই উপলক্ষ্যে সরকারের তরফে আজ, বৃহস্পতিবার বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে।
রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করবেন। এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। ব্যারাকপুরের গান্ধীঘাটে রাজ্য সরকারের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাজ্যপাল বোস। সেখানে থাকবেন সাংসদ পার্থ ভৌমিকও। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে তৈরি আলিপুর মিউজ়িয়ামে রাজ্য সরকার এবং কলকাতা পুরসভার যৌথ উদ্যোগে শহিদ দিবস উদযাপন করা হবে। এই অনুষ্ঠানে কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম থাকবেন।
রাজ্য সরকারের পাশাপাশি সারা বাংলায় আজ ‘শহিদ দিবস’ পালন করবে তৃণমূল কংগ্রেসও। রাজ্যের প্রতিটি এলাকায় বুথস্তরে এই কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিয়েছেন দলের সর্বোচ্চ নেতৃত্ব। তৃণমূলের শাখা সংগঠনগুলিও এই কর্মসূচি পালন করবে। দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী–সহ প্রথম সারির নেতারা মেয়ো রোডে গান্ধীমূর্তির সামনে শহিদ দিবস পালন করবেন। কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে শহিদ দিবস পালন করবেন তৃণমূলের নেতা–মন্ত্রীরা। জেলায় জেলায় তৃণমূল স্তর পর্যন্ত শহিদ দিবস পালনের নির্দেশ দিয়েছেন সুব্রত বক্সী।
গান্ধীজির প্রয়াণ দিবসকে বামেরা ‘সম্প্রীতি ও সংহতি দিবস’ হিসেবে পালন করতে চলেছে। কলকাতায় তারা বড় মিছিল করবে। শিয়ালদহ থেকে মিছিল করে বেলেঘাটা গান্ধী ভবনের সামনে সভা করবেন বিমান বসু–সহ বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। অধীর চৌধুরী প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি থাকার সময়ে গান্ধীজির প্রয়াণ দিবসে বেলেঘাটা গান্ধী ভবনের সামনে বাম–কংগ্রেসের যৌথ কর্মসূচি হতে দেখা গিয়েছে। যদিও শুভঙ্কর সরকার প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি হওয়ার পর বাম–কংগ্রেসের সেই তালমিল আর নেই। ফলে বামেরা একক ভাবেই এ বার বেলেঘাটায় গান্ধীজির প্রয়াণ দিবস পালন করতে চলেছে।
প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে বড় কোনও কর্মসূচি ঘোষিত না–হলেও গান্ধী ভবনের পরিচালনায় যুক্ত ‘পূর্ব কলকাতা গান্ধী স্মারক সমিতি’ ট্র্যাডিশন মেনে গান্ধী ভবনে আজ মহাত্মার প্রয়াণ দিবস পালন করবে। ‘হরিজন সেবক সংগঠন’–সহ কয়েকটি সংগঠনকে নিয়ে গান্ধী স্মারক সমিতি বেলেঘাটায় মানববন্ধন–সহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করবে বলে জানিয়েছে এই সংগঠনের সম্পাদক পাপড়ি সরকার।