এই সময়: শীতের দুপুরে জমে উঠল কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। কলেজের ক্লাস কামাই করে বইমেলা এসেছিলেন সাংবাদিকতার ছাত্র সুমিত রায়, মৌসুমী মণ্ডলরা। ভবিষ্যতে সংবাদকর্মী হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঘুরে বেড়ানো সমিত, মৌসুমীরা থমকে গেলেন বইমেলার ১৯০ নম্বর স্টলের সামনে।
এই সময় সংবাদপত্রের নিয়মিত পাঠক সুমিত স্টলে এসে খোঁজ করছিলেন, পছন্দের সাংবাদিকরা এখানে কবে আসবেন, কারা আসছেন। ঠিক তখনই তিনি জানতে পারলেন, এই প্যাভিলিয়নেই হবে অ্যাঙ্কর হান্ট। সুমিতের ইচ্ছে, কোনও খবরের চ্যানেলে অ্যাঙ্কর হওয়ার। আর সেই সুযোগের মহড়া যে বইমেলায় ঘুরতে এসে এই ভাবে পেয়ে যাবেন, তা কল্পনাই করতে পারেননি তিনি।
ক্যামেরার সামনে প্রথমবার মাইক হাতে দাঁড়িয়ে সুমিত কথা বলে গেলেন অনর্গল। বলা যখন শেষ হলো, সামনে উপস্থিত দর্শকরা হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানালেন তাঁকে। আবেগঘন সুমিতের কথায়, ‘বইমেলায় এসে যে নিজের আগামী জীবনের স্বপ্নের স্বাদ পাব, ভাবিনি। অনেক ধন্যবাদ এই সময়–কে, এমন একটা মঞ্চ করে দেওয়ার জন্য।’
এই বারের বইমেলায় এই সময় সংবাদপত্রের প্যাভিলিয়নে থাকছে ৫০ জন তরুণ লেখকের গল্প নিয়ে এই সময় থেকে প্রকাশিত নতুন বই ‘গল্প স্বল্প’। খবরের কাগজে সেই বইয়ের বিজ্ঞাপন পড়ে প্যাভিলিয়নে এসেছিলেন চন্দননগরের বাসিন্দা শ্রীমতি সিনহা। ৩১ জানুয়ারি সেই বই প্রকাশ পাবে, জেনে গেলেন তিনি। শ্রীমতির কথায়, ‘কয়েকটা বই একেবারে লিস্ট করে রেখেছি কিনব বলে। গল্প স্বল্প তার মধ্যে এক নম্বরে। ৩১–এর পরেই আর একদিন এসে বইটা সংগ্রহ করতে হবে। আমি নতুন লেখকদের গল্প পড়তে ভীষণ ভালবাসি।’
তখন গোধূলির আলো বইমেলা প্রাঙ্গনকে একেবারে সোনালি মোড়কে ঢেকে ফেলেছে। এই সময় সংবাদপত্রের প্যাভিলিয়নের সামনে থিকথিক করছে ভিড়। কারণ তখন চলছে স্পট কুইজের পালা। সঞ্চালক প্রশ্ন করলেন— শাহরুখ, কাজল আর সর্ষের ক্ষেত। কোন সিনেমা, কোন গান মাথায় আসছে? উত্তর দেওয়ার জন্য তখন পরের পর হাত উপরে উঠেছে। উত্তর দেওয়ার সুযোগ পেলেন একজনই। তিনি শুভজিৎ দাস। স্ত্রীকে নিয়ে বিকেলেই এসেছিলেন বইমেলায়। এই সময়ের প্যাভিলিয়ন ছাড়ার আগে সদ্য বিবাহিত শুভজিৎ ধন্যবাদ জানিয়ে বললেন, ‘স্ত্রীর চোখে চোখ রেখে তুঝে দেখা তো ইয়ে জানা সনম গাইলাম। এমন বইমেলা জীবনে বার বার আসবে কি?’