• এ বার হেলা বাড়ি ফিরহাদের কেন্দ্রে
    এই সময় | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়: এ বার হেলে পড়া বহুতল মিলল কলকাতা পুরসভার মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমের বিধানসভা কেন্দ্রেই। খিদিরপুরের মনসাতলা লেনে একটি পাঁচতলা আবাসন হেলে রয়েছে পাশের একটি পাঁচতলা আবাসনের দিকে। বাঘাযতীন, ট্যাংরার ঘটনার পর ফের একটি হেলে পড়া আবাসনের খোঁজ মেলায় পুরসভার বিল্ডিং বিভাগের আধিকারিকেরাও অস্বস্তিতে। তার উপরে ফিরহাদের বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এলাকায় এমনটা হওয়ায় তাঁদের উপরে চাপ কিঞ্চিৎ বেশিই।

    যদিও মেয়র নিজে বুধবার এ নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দেননি। বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিক বলেন, ‘১৫ বছর ধরে কলকাতা জুড়ে এ রকম অনেক বাড়ি হেলে রয়েছে। কোন বাড়ি কী পরিস্থিতিতে হেলে রয়েছে, তা জানতে স্ট্রাকচারাল ইঞ্জিনিয়ারদের পরামর্শ নিচ্ছি।’

    বিল্ডিং বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, ট্যাংরার হেলে পড়া নির্মীয়মাণ বাড়িটি ভাঙার কাজ আজ, বৃহস্পতিবার থেকে পুরোদমে শুরু হবে। এ কাজ শান্তিপূর্ণ ভাবে এবং বিনাবাধায় করতে ক্রিস্টোফার রোডে সকাল থেকে প্রয়োজনীয় পুলিশকর্মী মোতায়েনের জন্য পুরসভার তরফে আবেদন করা হয়েছে কলকাতা পুলিশকে। ট্যাংরার বাড়িটির সন্ধান মিলেছিল গত ২২ জানুয়ারি।

    তা হলে কাজ শুরু করতে এত দেরি হলো কেন? বিল্ডিং বিভাগের এক আধিকারিক জানান, ট্যাংরায় পাশাপাশি দুটো বাড়ি এমন ভাবে হেলে রয়েছে যে, সেখানে চটজলদি কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। একে এলাকাটি অত্যন্ত ঘিঞ্জি, তার উপরে পাশের বাড়িটিও খালি করতে হয়েছে। নির্মীয়মাণ বাড়িটির স্ট্রাকচারাল স্টেবিলিটি পরীক্ষা করতেও কয়েক দিন লেগেছে। তা ছাড়া দু’পাশের বহুতলগুলির ক্ষতি এড়িয়ে নির্মীয়মাণ বাড়িটি কী ভাবে ভাঙা যায়, তার পরিকল্পনা করতেও কিছুটা সময় লেগেছে।

    কলকাতায় হেলা বাড়ি নিয়ে সমস্যার সমাধানের জন্য বুধবার হরিয়ানার একটি সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে পুরসভার আধিকারিকদের বৈঠক হয়। সূত্রের খবর, হেলে পড়া বাড়ি সোজা করার কাজের জন্য এ বার থেকে পুরসভা ওই সংস্থার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখবে। প্রয়োজন হলে তাদের ডাকাও হতে পারে। হেলা বাড়ি সোজা করতে কী কী পদক্ষেপ প্রয়োজন, তা নিয়ে এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়।

  • Link to this news (এই সময়)