মহাকুম্ভে পূণ্যস্নানে গিয়ে মর্মান্তিক পরিণতি, পদপিষ্টের ঘটনায় মৃত বাংলার দুই
আজকাল | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: কুম্ভে পদপিষ্টের ঘটনায় অন্তত ৩০ জন মারা গেছেন। তার মধ্যে বাংলার দুই বাসিন্দাও রয়েছেন। বুধবার ভোররাতে মৌনি অমাবস্যার পূণ্যস্নানে গিয়ে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হন বাংলার দুই প্রৌঢ়া। মৃতদের একজন কলকাতা এবং অপরজন পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির বাসিন্দা। পদপিষ্টের ঘটনায় বাংলার আর কেউ মারা গিয়েছেন কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। খোঁজ চলছে।
কলকাতার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের অশ্বিনী নগরের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার (৬৫) নিজের বোন, ছেলে, মেয়েকে নিয়ে পুণ্যস্নানে গিয়েছিলেন। বুধবার ভোর রাতে মৌনী অমাবস্যা পুণ্যতিথিতে ডুব দিতে গিয়েছিলেন বাসন্তীদেবী। আচমকাই হুড়োহুড়ি পড়ে যান। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান তিনি। তাঁর ছেলে চেষ্টা করেন মাকে তোলার। কিন্তু লাভ হয়নি। গুরুতর জখম হন তিনি। পরে মারা যান। ময়নাতদন্তের পর মৃতদেহ বৃহস্পতিবারই কলকাতায় আনা হবে বলে জানা গেছে।
এদিকে, পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির গোদপিয়ালশালের বাসিন্দা ঊর্মিলা ভুঁইয়াও গিয়েছিলেন পূণ্যস্নানে। সঙ্গে ছিলেন দুই মেয়ে, দুই জামাই, নাতি–নাতনি। তিনিও ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে যান। তাঁকে তোলার চেষ্টা করেন জামাই। কিন্তু পারেননি। পদপিষ্টে ধাক্কাধাক্কিতে ক্ষতবিক্ষত হন ঊর্মিলা। দীর্ঘক্ষণ খোঁজ মেলেনি তাঁর। প্রশাসনের তরফে হাসপাতাল এবং মর্গে খোঁজ নিতে বলা হয়। অবশেষে মর্গে ঊর্মিলাদেবীর দেহ পাওয়া যায়। সেখান থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে দেহ নিয়ে শালবনির উদ্দেশে রওনা দিয়েছে পরিবার। জানা গেছে, এক দু’দিনের মধ্যেই নবান্ন থেকে প্রতিনিধিদল যেতে পারে প্রয়াগরাজে।
প্রসঙ্গত, মহাকুম্ভে মৃত ৩০ জনের মৃতের মধ্যে ২৫ জনকে শনাক্ত করা গিয়েছে। বাকি ৫ জনের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। বৃহস্পতিবারই ঘটনাস্থলে যাওয়ার কথা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের।