• পুলিসকে হেনস্তার ঘটনা, গোবিন্দপুর থেকে ধৃত আরও ৫
    বর্তমান | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, সিউড়ি: আগ্নেয়াস্ত্র সহ স্থানীয়দের হাতে পাকড়াও দুই যুবককে ধরতে গিয়ে মঙ্গলবার সিউড়ি থানার পুলিসকে হেনস্তার শিকার হতে হয়েছিল। থানার আইসির কলার ধরার অভিযোগ ওঠে এক যুবকের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে ধরপাকড়ের সময় পুলিসের হাত থেকে এক তৃণমূল নেতাকে ছিনিয়ে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগও রয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছিল। ওইদিনই ১৮ জনকে পুলিস গ্রেপ্তার করেছিল। বুধবার এলাকায় ফের অভিযান চালায় পুলিস। গোবিন্দপুর থেকে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতদের আজ, বৃহস্পতিবার আদালতে তোলা হবে। জেলার পুলিস সুপার আমনদীপ বলেন, আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এই ঘটনায় যুক্ত সকলকেই গ্রেপ্তার করা হবে।


    উল্লেখ্য, পুরনো জমি বিবাদকে কেন্দ্র করে ওইদিন সিউড়ির মিনিস্টিল এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। আগ্নেয়াস্ত্র সহ দু’জনকে পাকড়াও করে বেঁধে মারধরের ঘটনা ঘটে। তাতে মাল্লু আনসারি গুরুতর জখম হয়। ওইদিনই তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই তার চিকিত্সা চলছে। অন্যদিকে তাদের গ্রেপ্তার করতে গেলে পুলিসকেও হেনস্তা করা হয়। সেই ঘটনায় পুলিস ধরপাকড় শুরু করেছে। তার জেরে মিনিস্টিল এলাকা কার্যত পুরুষশূন্য হয়ে গিয়েছে। 


    মঙ্গলবার ঘটনার পরই পুলিস ১৮জনকে গ্রেপ্তার করেছিল। এছাড়াও এদিনও একাধিক বাড়িতে হানা দেয় পুলিস। পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেইসঙ্গে ওই এলাকা থেকে একাধিক বাইকও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। সব মিলিয়ে পুলিস এই ঘটনায় মোট ২৩জনকে গ্রেপ্তার করল। ঘটনায় বাকিদের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিস।


    মঙ্গলবার গ্রেপ্তার হওয়া ১৮জনকে এদিন আদালতে তোলা হয়। তাদের মধ্যে ১৩জন মহিলা। সেইসঙ্গে মল্লিকপুর অঞ্চলের তৃণমূল যুব সভাপতি বাবু আনসারিও রয়েছে। এছাড়াও আগ্নেয়াস্ত্র সহ ধৃত রসুলুদ্দিন আনসারিকে এদিন আদালতে পেশ করা হয়। সরকারি আইনজীবী মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, পৃথক দু’টি মামলা রুজু করা হয়েছে। পুলিসের গায়ে হাত তোলা ও সরকারি কাজে বাধা দানের একটি মামলা হয়েছে। সেই ঘটনায় পুলিস একজনকে সাতদিনের রিমান্ডে নিয়েছে। আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের মামলায় একজনকে সাতদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের জেল হেফাজতে পাঠানো হয়েছে।
  • Link to this news (বর্তমান)