চালকের বেতন নিয়ে সমস্যা, দু’বছর বন্ধ কঠিন বর্জ্য প্রকল্প
বর্তমান | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, হরিশ্চন্দ্রপুর: গাড়ি চালকের মজুরি কারা দেবে? কোন ফান্ড থেকে আসবে টাকা? উত্তর মিলছে না। ফলে ঢাক, ঢোল পিটিয়ে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প চালু হলেও গাড়ি চালকের মজুরি দিতে না পারায় বন্ধ কাজ।
গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকাকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে ২০২২ সালে প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকা ব্যয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের ইসলামপুর গ্রামে ফাঁকা প্রকল্পের ইউনিট তৈরি করা হয়। এখনও পর্যন্ত সেটা চালু হয়নি বলে অভিযোগ। ব্যাটারি চালিত গাড়ি গ্রামে ঘুরে ঘুরে আবর্জনা সংগ্রহ করে প্রকল্পে জমা করার কথা। পচনশীল বস্তু থেকে জৈব সার তৈরি হবে বলেও জানানো হয়েছিল। প্রকল্প চালু না হওয়ার ফলে বাজার ও রাজ্য সড়কের ধারে আবর্জনার স্তূপ তৈরি হচ্ছে বলে দাবি বাসিন্দাদের। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রকল্পে ২১টি চেম্বার তৈরি করা হয়েছে। কঠিন ও পচনশীল বস্তু আলাদা করে রাখার পর জৈব সার তৈরি হওয়ার কথা ছিল।
স্থানীয় বাসিন্দা আশরাফুল হক বলেন, পঞ্চায়েত থেকে গাড়ি এসে বাড়ি থেকে আবর্জনা সংগ্রহ করে নিয়ে যাওয়ার কথা। একদিনও গাড়ি আসেনি। যেখানে সেখানে আবর্জনা জমা হয়ে রয়েছে। পঞ্চায়েত প্রধান লুৎফুন্নেসা বলেন, প্রকল্প তৈরি হওয়ার তিন বছর হল। আবর্জনা সংগ্রহের জন্য চারটি ব্যাটারি চালিত গাড়ি রয়েছে। একজন করে চালক রাখার কথা। তবে সরকারিভাবে চালক নিয়োগ হয়নি। প্রকল্প শুরুর দিকে কয়েক মাস নিজের উদ্যোগে আবর্জনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছিলাম। পকেট থেকে চালককে মজুরি দিতে হয়। ব্লক থেকে চালকের মজুরি দেওয়ার কথা থাকলেও দেয়নি। তাই আবর্জনা সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে।
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ এর বিডিও সৌমেন মণ্ডল বলেন, গাড়ি চালককে বেতন দেওয়ার জন্য জেলা থেকে কোনও ফান্ড ব্লকে আসে না। প্রধানকে সেটা ম্যানেজ করে নিতে বলা হয়েছে। তবে প্রধানের সঙ্গে কথা বলে একমাসের মধ্যে ব্যবস্থা করব।