পরিবারের বাধা সত্ত্বেও কুল চাষ করে সফল শীতলকুচির পপি বর্মন
বর্তমান | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
সংবাদদাতা, শীতলকুচি: প্রথাগত চাষ থেকে সরে এসে প্রথমবার কুল চাষ করেই সফল শীতলকুচির পপি বর্মন। কৃষিদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহৎ পরিসরে শীতলকুচি ব্লকে এই প্রথম কোনও মহিলা কুল চাষি করেছেন। ছোট শালবাড়ি পঞ্চায়েতের নগর শোভাগঞ্জে বাড়ি তাঁর। বাংলা নিয়ে স্নাতকোত্তর শেষ করে রায়গঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি করছেন। পড়াশোনার পাশাপাশি প্রায় আট মাস আগে বাড়ির পাশেই চার বিঘা জমিতে কুল চাষ শুরু করেন। পরিবারের সদস্যদের আপত্তি থাকলেও ভালো ফলন হওয়ায় এখন খুশি তাঁরা। জমিতে ব্যাপক পরিমাণ কুল ফলেছে দেখে তাঁর কাছ থেকে পরামর্শ নিতে আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম থেকে রোজ দিনই চাষিরা এসে ভিড় করছেন।
বর্তমানে পপির কুল বাগানে ভারত সুন্দরী ও বল সুন্দরী এই দুই প্রজাতির কুল রয়েছে। গাছগুলিতে ১০-১৫ কেজি ফল ধরেছে। সেগুলি ৬০-৭০ টাকা কেজি দরে পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে। চাহিদা থাকায় কুল চাষ লাভজনক বলে মনে করছেন তিনি। পরিবারের বাধা থাকলেও জেদ নিয়ে চাষ শুরু করেছিলেন। পপি বলেন, কলকাতা থেকে কুল গাছের চারা নিয়ে এসেছিলাম। আমাদের জমিতে ধান, পাট চাষ করা হয়। কুল চাষ করার কথা বাড়িতে জানালে পরিবার সম্মতি দেয়নি। কিন্তু ভালো ফলন হওয়ায় তাঁরা সকলেই খুশি। প্রথম বছর কুল বাগানে প্রায় ৬০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কৃষিদপ্তর থেকেও সহযোগিতা পেয়েছি। আগামী দিনে গো-পালন ও দেশি মুরগি পালন করার পরিকল্পনা রয়েছে।
পপির মা গীতা বর্মন বলেন, প্রথমবার এত জমিতে কুল চাষ করা নিয়ে আমরা মেয়েকে বাধা দিয়েছিলাম। কিন্তু ও এরপরেও কুল গাছ লাগায়। ভালো ফলন হওয়ায় আমরাও খুশি। চাষে আমরা মেয়েকে উৎসাহ দিচ্ছি।
শীতলকুচি ব্লক সহ কৃষি অধিকর্তা প্রদীপ্ত ভৌমিক বলেন, বিষয়টি নজরে আছে। কৃষিদপ্তরের তরফে ওঁকে উৎসাহ জোগাতে রামবুটান ফলের গাছ দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, পপিকে দেখে ব্লকের অন্য মেয়েদের মধ্যেও বিভিন্ন ফল চাষে উৎসাহ বাড়বে।