সাধারণতন্ত্র দিবসের ট্যাবলো পুরস্কারে বঞ্চিত পশ্চিমবঙ্গ
বর্তমান | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
নিজস্ব প্রতিনিধি, নয়াদিল্লি: সাধারণতন্ত্র দিবসে রাজধানীর রাজপথে রাজ্যের ট্যাবলোয় ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ এবং ‘লোকপ্রসার প্রকল্প’ প্রদর্শনে সুযোগ পেলেও ‘সম্মানে’র সারিতে বঞ্চিত বাংলাই। মিলল না কোনও পুরস্কার। সবই কেড়ে নিয়ে গেল বিজেপি-এনডিএ শাসিত রাজ্য। যে কুম্ভে মৌনি অমাবস্যায় ঘটে গেল অঘটন, সেই ‘মহাকুম্ভ ২০২৫’ প্রদর্শন করে উত্তরপ্রদেশের ট্যাবলো পাচ্ছে সেরার সম্মান। প্রথম পুরস্কার। দ্বিতীয়স্থানে আর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য ত্রিপুরা। রাজ্যের চতুর্দশ দেবতার মন্দির আর খার্চি পুজোর আদলে করা হয়েছিল ট্যাবলো। তৃতীয় সেরার সম্মান পাচ্ছে এনডিএ শাসিত অন্ধ্রপ্রদেশ। আর স্রেফ পশ্চিমবঙ্গই নয়, অবিজেপি কোনও রাজ্যই নেই পুরস্কারের তালিকায়। যদিও এ ব্যাপারে কোনও পক্ষপাতিত্ব বা রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণে বিচার করা হয়নি বলে দাবি প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের।
এবার ২৬ জানুয়ারি ৭৬ তম সাধারণতন্ত্র দিবসে কর্তব্যপথের প্যারেডে ট্যাবলো প্রদর্শনীর থিম ছিল, ‘স্বর্ণিম ভারত-বিরাসত সে বিকাশ।’ অর্থাৎ সোনার ভারত: ঐতিহ্য থেকে উন্নতি। পশ্চিমবঙ্গ, পাঞ্জাব, দিল্লি, কর্ণাটক, ঝাড়খণ্ড সহ মোট ১৬ টি রাজ্য ট্যাবলো প্রদর্শনের সুযোগ পেয়েছিল। পাশাপাশি গ্রামোন্নয়ন, সামাজিক ন্যায়, নারী-শিশু কল্যাণের মতো ছিল ১০ মন্ত্রকের ট্যাবলোও। তার মধ্যে কে সেরা, তা বেছে নিতে তিনজনের একটি নির্বাচকমণ্ডলী তৈরি করা হয়।
আধা সেনা তথা অনুসারি বাহিনীর মধ্যে দিল্লি পুলিসের মার্চিং কনটিনজেন্টকে সেরা হিসেবে নির্বাচন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, দিল্লি পুলিস কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের অধীন। আদিবাসী বিষয়ক মন্ত্রকের ট্যাবলোকে দেওয়া হচ্ছে পুরস্কার। আর বিশেষ পুরস্কার পাচ্ছে সিপিডব্লুডি। যারা তুলে ধরেছিল সংবিধানের ৭৫ বছর। স্রেফ তিন নির্বাচকের চোখেই নয়। সাধারণ মানুষের বিচারে কোন রাজ্যের ট্যাবলো আকর্ষণীয়, তাও বেছে নেওয়ার সুযোগ ছিল। ২৬-২৮ জানুয়ারি অনলাইন হয়েছে নির্বাচন। সেখানে ‘পপুলার চয়েজ ক্যাটাগরি’তে সেরা ট্যাবলো গুজরাত। দ্বিতীয় উত্তরপ্রদেশ। তৃতীয় উত্তরাখণ্ড। কাকতালীয় এখানেও দর্শকের বিচারে সেরা তিন বিজেপি শাসিত রাজ্যেরই ট্যাবলো!