নিজস্ব প্রতিনিধি, তমলুক: জামিন পেয়ে বাইরে বেরনোর পরই জোড়া সরকারি দেহরক্ষী পেয়েছেন কুরবান শা খুনে অভিযুক্ত আনিসুর রহমান। জামিনে ছাড়া পাওয়া অভিযুক্তকে কীভাবে সরকারি নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয় তানিয়ে কলকাতা সিটি সেশন কোর্টের পিটিশন জমা করেছিল কুরবান শা-র পরিবার। বুধবার সেই মামলায় রাজ্য পুলিসের ডিজি, ডিআইজি(অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) এবং পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিস সুপারের কাছ থেকে রিপোর্ট চাইল আদালত। আগামী ১ ফেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী দিনে এনিয়ে রিপোর্ট পেশ করতে হবে। এই ঘটনায় পুলিসের বিড়ম্বনা বাড়ল বলে অনেকেই মনে করছেন। গত ৩ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্ট শর্তসাপেক্ষে আনিসুর রহমানের জামিন মঞ্জুর করে। গত ৮ জানুয়ারি প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগার থেকে বেরিয়ে আসেন আনিসুর। সর্বোচ্চ আদালতের নির্দেশে আপাতত কলকাতায় তাঁকে থাকতে হচ্ছে। এর মধ্যেই মামলার দিনে তাঁকে কলকাতা নগর দায়রা আদালতে যেতে হবে। আদালতে আসা যাওয়ার পথে তাঁর সঙ্গী দু’জন দেহরক্ষী। সর্বক্ষণের জন্য তাঁকে ওই দুই নিরাপত্তারক্ষী দেওয়া হয়েছে বলে খবর। রাজ্য পুলিস কেন একজন খুনের মামলায় অভিযুক্তকে দেহরক্ষী দিয়েছে সেটাই জানতে চায় আদালত। কুরবান শা খুনের মামলায় কলকাতা সিটি সেশন কোর্টে বিচার প্রক্রিয়া চলছে। ইতিমধ্যে ৭৪জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। এই মামলার ৭৫তম সাক্ষী হলেন দিলীপ চক্রবর্তী। তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিসের এসআই। খুনের ঘটনার সময় তিনি পাঁশকুড়া থানায় কর্মরত ছিলেন। দেহ উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থলেও ছিলেন। তাছাড়া স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিমের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। টানা ৬২দিনের সাক্ষ্য দেওয়ার পর ২১ জানুয়ারি বিচারক তাঁকে বিরূপ সাক্ষী ঘোষণা করেন। ফের ওই পুলিস অফিসারকে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য সমন পাঠানো হয়। বুধবার থেকে ফের এসআই দিলীপ চক্রবর্তীর সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। কুরবান শা পরিবারের আইনজীবী মাসুম আলি সরদার বলেন, সংশোধনাগারে থাকার সময় থেকেই আনিসুর রহমানকে সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। তমলুক উপ সংশোধনাগারে থাকাকালীন দীর্ঘ সময় ধরে তাঁকে তমলুক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রাখা হতো। বিষয়টি নিয়ে আমরা আদালতে দ্বারস্থ হওয়ার পর ওই মামলায় সকল অভিযুক্তকে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে স্থানান্তর করা হয়।