বিষ্ণুপুরে দমকল কেন্দ্রের নকশা তৈরি, শুরু হবে টেন্ডার প্রক্রিয়া
বর্তমান | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
বিমল বন্দ্যোপাধ্যায়, বজবজ: সাতগাছিয়া ও বিষ্ণুপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রায় পঁচিশ থেকে ত্রিশটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় কোনও দমকল কেন্দ্র নেই। প্রায় কুড়ি কিলোমিটার দূরের বেহালা দমকল কেন্দ্রের উপর ওই এলাকার বাসিন্দাদের ভরসা করতে হয়। ফলে কোথাও আগুন লাগলে, বেহালা থেকে দমকল যতক্ষণে আসে, ততক্ষণে সব আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে যায়। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে সকলেই ধরে নেন, ঘরবাড়ি কোনও কিছুই আর রক্ষা করা যাবে না।
সাতগাছিয়া কেন্দ্রের বিধায়ক মোহন নস্কর এ কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তাঁকে প্রতিনিয়ত এমন অভিজ্ঞতার মুখে পড়তে হয়। বললেন, কয়েকদিন আগেই রাতে আমার বাড়ির পাশে এক কাঠের মিলে আগুন লাগে। তখন বড় অসহায় অবস্থা হয়েছিল। বেহালা থেকে দমকল আসতে অনেকটা সময় লেগেছে। ফলে সারারাত ওইখানেই আমি ছিলাম। কারণ দমকল দেরি করায়, মানুষ রেগে ছিল। তাই সাতগাছিয়ার আমতলাতে দমকলের একটা আলাদা কেন্দ্র যাতে হয়, সেজন্য দীর্ঘদিন ধরে তদ্বির করে আসছি। বিধায়ক আশ্বাস দিয়েছেন, দমকল কেন্দ্রের জন্য ডায়মন্ডহারবার জাতীয় সড়কের উপর জমি চিহ্নিত হয়েছে। কিছুদিন আগে সেখানকার মাটি পরীক্ষাও হয়েছে। আশা করা যায়, শীঘ্রই সেখানে দমকল কেন্দ্র তৈরির কাজ শুরু হবে। এই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে পূর্তদপ্তরকে।
এদিকে রাজ্য পূর্তদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষ্ণুপুর থানা ও প্রভাস রায় পলিটেকনিক-এর মাঝখানে ডায়মন্ডহারবার জাতীয় সড়কের ধারে দমকল কেন্দ্রের জন্য ২৭ থেকে ৩০ কাঠা জমি বরাদ্দ হয়েছে। জমিটি নিচু হওয়ায় তা উঁচু করতে বেশি মাটি ফেলতে হবে। দমকল কেন্দ্রের নকশা ও এস্টিমেট তৈরি করে জমা দেওয়া হয়েছে। এবার পূর্তদপ্তরের উপরতলায় তা অনুমোদন হলেই টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হবে। সব মিলিয়ে দশ থেকে বারো কোটি টাকা খরচ ধরা হয়েছে।