• ছোট নদী রক্ষায় সাইকেল অভিযান শেষে উদ্বেগের কথা শোনালেন পরিবেশ কর্মীরা
    বর্তমান | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, কলকাতা: পশ্চিম বর্ধমানের জামুড়িয়া ২ নং ব্লকের উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে সিঙ্গারন নদী। লোহা চূর্ণ মিশে লাল হয়ে গিয়েছে সেই নদীর জল। বক্রেশ্বরে চন্দ্রভাগা নদীর জলে মিশছে ছাই। সেই নদীর জল সাদা হয়ে গিয়েছে। কেউ আবার বললেন, ‘আগের মতো জলই নেই নদীতে।’ এরকম হাজারো অভিজ্ঞতাকে সঙ্গী করে কলকাতায় ফিরলেন এক দল পরিবেশ কর্মী। ১৮ জানুয়ারি বীরভূমের সিউড়ি থেকে দক্ষিণবঙ্গের ছোট নদীগুলির পাড় ধরে সাইকেল যাত্রা শুরু করেছিলেন তাঁরা। ১২ দিনে ন’টি জেলার মোট ৭৫০ কিলোমিটার পথ সাইকেলে অতিক্রম করে বুধবার বিকেলে কলকাতায় পৌঁছন তাঁরা। রাণুচ্ছায়া মঞ্চে নিজেদের এই ক’দিনের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেন তাঁরা। সেখান থেকেই উঠে এল নদীগুলির দুর্দশার এই তথ্য। 


    পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চ, ‘নদী বাঁচাও, জীবন বাঁচাও’ সহ প্রায় ২০টি সংগঠন এই উদ্যোগে শামিল হয়েছিল। সমাপ্তি অনুষ্ঠানে সাইকেল আরোহীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞান মঞ্চের সম্পাদক প্রদীপ মহাপাত্র। সাইকেল অভিযাত্রীদের তরফে কল্লোল রায়, তাপস দাস, সঞ্জয় দাস, মৃন্ময় সেনগুপ্তরা তাঁদের অভিজ্ঞতালব্ধ তথ্য তুলে ধরেন। যাত্রাপথে সাদা কাগজ নিয়ে স্থানীয় মানুষের কাছে পৌঁছে গিয়েছিলেন এই পরিবেশ কর্মীরা। তাপসবাবু বলছিলেন, ‘মানুষ চান, তাঁদের গ্রামের নদীটি, বাড়ির পিছন দিয়ে বয়ে যাওয়া নদীটি যেন ভালো থাকে। আমরা ১২ দিনে ১২০০ লাইন লিখে এনেছি। তার মধ্যে যেমন অকুণ্ঠ ভালোবাসা রয়েছে, তেমনই অনেক পরামর্শ, অভিযোগও পেয়েছি।’ পরিবেশ কর্মীরা জানান, অজয়, ময়ূরাক্ষী, দামোদরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় বয়স্করা নদী দূষণ, নদী দখল ও বালি-পাথর লুটের বিষয়গুলি উল্লেখ করেছেন। সাঁওতালডিহিতে গোয়াই নামের একটি নদীর পাড়ে গিয়ে তাঁরা শুনেছেন, একটা সময় সেখানে গম চাষ হতো। এখনই সব বন্ধ। পরিবেশ কর্মী সঞ্জয় দাস বলেন, ‘নদী বিষয়ক এই সমস্যাগুলি নিয়ে আমরা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’ -নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)