• মা উড়ালপুলে গতিসীমা লঙ্ঘন ধরা পড়ল সিসিটিভি ক্যামেরায়, কলকাতা পুলিশের গাড়িই কোপে
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • ‘‌মা উড়ালপুল’‌ শহরের সবচেয়ে ব্যস্ততম পথ। এখানেই সবচেয়ে বেশি পথ দুর্ঘটনাও ঘটে। এখানে যাতে এসব না ঘটে তার জন্যই বসেছে ‘‌স্পিড চেকার’‌ থেকে শুরু করে সিসিটিভি ক্যামেরা। সাধারণ মানুষ এই উড়ালপুল দিয়ে যাওয়ার সময় আইন লঙ্ঘন করতে দিতে হয় জরিমানা। কিন্তু পুলিশই যদি আইন ভাঙে?‌ তাহলে তার জরিমানা কে করবে?‌ এমন সব প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ পুলিশ সাধারণ মানুষের চোখকে ফাঁকি দিতে পারলেও প্রযুক্তিকে ফাঁকি দেওয়া সম্ভব নয়। কদিন আগে তারই প্রমাণ মিলেছে। মা উড়ালপুলে সর্বোচ্চ গতিসীমা লঙ্ঘনের জন্য এবার জরিমানার কোপে পড়ল খোদ কলকাতা পুলিশের গাড়ি। তাও লাগাতার তিনবার। ধরা পড়ল লালবাজারের বসানো স্পিড সেন্সিং ক্যামেরায়।

    এদিকে ২০২৪ সালের শেষেও কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের এক অফিসারের গাড়ির ক্ষেত্রে এই ঘটনা ঘটে। অফিসে দ্রুত পৌঁছতে মা উড়ালপুল ধরে যাচ্ছিলেন ওই অফিসার। চালককে তিনি দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দেন। পুলিশের চাকরিতে সময় একটা বড় বিষয়। তাই সাহেবের নির্দেশ পেয়েই ঝড়ের গতিতে মা উড়ালপুল দিয়ে গাড়ি ছোটাতে শুরু করেন ওই চালক। কিন্তু গন্তব্যে পৌঁছনোর আগেই ওই অফিসারের কাছে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে চলে আসে জরিমানার বার্তা। তাতে উল্লেখ ছিল, মা উড়ালপুলে গতিসীমা লঙ্ঘন করার জন্য ১০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে সরকারি গাড়িকে।


    অন্যদিকে এবার ডিউটিতে দ্রুত পৌঁছতে গিয়ে প্রথমবার মা উড়ালপুলে, দ্বিতীয়বার এজেসি বোস রোড উড়ালপুলে এবং তৃতীয়বার গতিসীমা লঙ্ঘনের দায়ে জরিমানার কোপে পড়ে পুলিশের সরকারি গাড়ি। আর এই সবকটি জরিমানার মোট পরিমাণ দাঁড়ায় তিন হাজার টাকায়। এমনটা যে ঘটতে পারে তা কল্পনাও করতে পারেননি পুলিশ কর্তারা। লোক আদালতে গিয়ে সেই জরিমানা মিটিয়ে এসেছেন ট্রাফিক বিভাগের ওই অফিসার। লোক আদালতের নিয়ম, ওখানে জরিমানার টাকা মেটালে মিলবে ৫০ শতাংশ ছাড়। তাই জরিমানার অঙ্ক দাঁড়ায় দেড় হাজার টাকায় বলে সূত্রের খবর। এই খবর এবার ফাঁস হয়ে গিয়েছে।

    সাধারণ মানুষ নিয়ম লঙ্ঘন করলে জরিমানা দিতে হয়। এটা সকলেই জানে। কিন্তু পুলিশও যে নিয়ম এবং আইন লঙ্ঘন করে সেটা জানলেও কোনও প্রমাণ অনেকের কাছে নেই। এবার সেই প্রমাণ রয়ে গেল। এই বিষয়ে ট্রাফিক পুলিশের এক অফিসারের বলেন, ‘আমাদের কাজে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছতে হয়। তাই নানা কারণে ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন হয়। তবে সেটা উচিত নয়। আমার চালককে বলেছি, খুব প্রয়োজন হলেও গতিসীমা লঙ্ঘন না করতে।’ তবে সাধারণ মানুষ বলছেন, পুলিশও আইনের ঊর্ধ্বে নয়। স্পিড ক্যামেরার প্রযুক্তিই সব ধরিয়ে দেবে।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)