'দেহের অবস্থা ভালো না', মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু কলকাতার বৃদ্ধারও
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
২৯ জানুয়ারি মহাকুম্ভে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৩০ জন পূণ্যার্থীর। তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন কলকাতার এক বৃদ্ধা। রিপোর্ট অনুযায়ী, মৌনী অমাবস্যায় পূণ্যস্নান করতে গিয়ে প্রয়াগরাজে মৃত্যু হয়েছে কলকাতার বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দারের। তাঁর বয়স ছিল ৬৫ বছর। জানা গিয়েছে, কলকাতা পুরসভার ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডে অশ্বিনী নগর এলাকার বাসিন্দা ছিলেন বাসন্তী পোদ্দার। ছেলে, মেয়ে ও নিজের বোনের সঙ্গে বাসন্তী পোদ্দার প্রয়াগরাজ গিয়েছিলেন পূণ্যস্নান করতে। এদিকে বাসন্তীদেবীর মৃত্যুর কথা জানতে পেরে এলাকার কাউন্সিলর তপন দাশগুপ্ত গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। টিভি৯ বাংলার রিপোর্ট অনুযায়ী, কাউন্সিলর জানিয়েছেন যে বাসন্তীদেবীর মৃতদেহের অবস্থা খুবই খারাপ। আজ তাঁর দেহ কলকাতায় নিয়ে আসার চেষ্টা করা হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন কাউন্সিলর।
জানা গিয়েছে, বিরল 'ত্রিবেণী যোগে' পূণ্যস্নানের জন্যে হুড়োহুড়ির মধ্যে বাসন্তী পোদ্দার টাল সামলাতে না পেড়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি পদপিষ্ট হন। এর জেরে মৃত্যু হয় তাঁর। তাঁর ছেলে সুরজিৎ পোদ্দার গতরাতে জানিয়েছিলেন, মায়ের দেহের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়নি। তিনি জানান, স্থানীয় প্রশাসন তাঁদের একটি কাগজ দিয়েছে, যাতে বলা হয়েছে যে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। উল্লেখ্য, মৌনী অমাবস্যায় গঙ্গায় ডুব দিতে বিশাল ভিড় জমেছিল মহাকুম্ভ মেলায়। সেখানেই ২৯ জানুয়ারি ভোররাত ২টো নাগাদ হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটেছিল। মৃত ৩০ জনের মধ্যে ২৫ জনকে চিহ্নিত করা গিয়েছে।
এদিকে মহাকুম্ভে পুণ্যার্থীদের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শোক প্রকাশ করেছেন। এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এক পোস্ট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, 'মহাকুম্ভে মর্মান্তিক পদপিষ্টের ঘটনায় আমি গভীরভাবে শোকাহত। যে ঘটনায় কমপক্ষে ১৫ জন নিরীহ মানুষের মৃত্যু হয়েছে । মৃত পুণ্যার্থীদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। গঙ্গাসাগর মেলা থেকে আমি শিখেছি যে বিশাল জনসমাবেশে যেখানে পুণ্যার্থীদের জীবন জড়িত থাকে, সেখানে পরিকল্পনা এবং পরিষেবা সর্বোচ্চ হতে হবে। মৃতদের আত্মার জন্য শান্তিকামনা করছি।'
এদিকে পূণ্যার্থীদের পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনার পরে উত্তরপ্রদেশেরই রায়বরেলির কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী অভিযোগ করেছেন, মহাকুম্ভ মেলা আয়োজনের ক্ষেত্রে যোগী সরকারের অব্যবস্থাপনা এবং সাধারণ পুণ্যার্থীদের পরিবর্তে ভিআইপিদের উপরে যে যাবতীয় নজর দেওয়া হচ্ছে, সেটার কারণেই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটেছে।