রক্তিমা দাস: কুম্ভ মেলায় গিয়ে মৃত্যু কলকাতার বাসিন্দার। ৯৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বাসন্তী পোদ্দার। বছর ৫০ উর্ধ্বের ওই মহিলা রিজেন্ট পার্ক এলাকায় থাকতেন। জানা গিয়েছে, বুধবার কুম্ভে পদপৃষ্ঠ হয়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর। কাউন্সিলরের বক্তব্য, পরিবার অভিযোগ করছে কোনও পোস্টমর্টেম না করে বডি হ্যান্ডওভার করা হয়েছে। এই মুহূর্তে পরিবারের বাসিন্দারা দেহ আনতে রওনা দিয়েছেন। তারা ফিরলে লোকাল থানায় যাবতীয় প্রসিডিওর করা হবে বলে জানিয়েছেন কাউন্সিলর।
মঙ্গলবার রাত দুটো নাগাদ মহাকুম্ভে স্নান করতে গিয়ে পদপিষ্ট হয়েছিলেন বহু মানুষ। প্রথম পর্যায়ে পাওয়া খবর অনুযায়ী পদপিষ্টের ঘটনায় আহত হয়েছিলেন কয়েকশো মানুষ। পাশাপাশি ১৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তবে তা সরকারিভাবে তখনও ঘোষণা করা হয়নি। পরিস্থিতি মোকাবিলায় শাহি স্নান বন্ধ করা হয়। পুণ্যস্নান বাতিল করেছে ১৩টি আখড়া। মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মোতায়েন হয় বিপুল সংখ্য়ক পুলিস।
কীভাবে ঘটল এমন দুর্ঘটনা? টানা ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ঘাট তৈরি করা হয়েছে স্নানের জন্য। মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে গতকাল মেলায় গিয়েছিলেন প্রায় এক কোটি মানুষ। গতকাল রাত দুটো নাগাদ ঘাটের ব্যারিকেড ভেঙে যায়। তার পরেই শুরু হয়ে যায় হুড়োহুড়ি। তাতেই পদপিষ্ট হন বহু মানুষ। আহতদের মধ্য়ে রয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন মহিলা।
মহাকুম্ভ পরিচালন সমিতির অনুমান মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে ত্রিবেনী সঙ্গমে জড়ো হন কমপক্ষে ৮০ লাখ থেকে ১ কোটি মানুষ। প্রায় ১২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিভিন্ন ঘাটে তারা জড়ো হন। গতকাল মধ্যরাতে স্নানের সময় কোনও কারণে তাদের মধ্যে হুড়োহুড়ি পড়ে যায়। কয়েকটি ব্যরিকেড ভেঙে যায়। তার পরেই ছোটছুটি শুরু হয়ে যায় পুণ্যার্থীদের মধ্যে। তাতেই আহত হন বহু মানুষ।
কুম্ভমেলা কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, মৌনী অমাবস্যা উপলক্ষ্যে কমপক্ষে ১০ কোটি মানুষ সঙ্গম স্নান করবেন। প্রসঙ্গত, ২৩ জানুয়ারির হিসেব অনুযায়ী মহাকুম্ভে আসা মানুষের সংখ্যা ইতিমধ্যেই ১ কোটি পেরিয়ে গিয়েছে। ২৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই সংখ্যাটা সাড়ে ৪ কোটি হয়ে যেতে পারে।