শিলিগুড়ির সংস্থা ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট)-এর পরিবর্তে রাজ্যের সরকারি হাসপাতালগুলিকে ‘ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিস প্রাইভেট লিমিটেড’-এর থেকে স্যালাইন কিনতে বলেছিল রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু এ বার ফার্মা ইমপেক্স সংস্থার আইভি ফ্লুইডেও মিলল ছত্রাক (ফাঙ্গাস)। সূত্রের খবর, এই সংস্থার একাধিক ব্যাচের আইভি ফ্লুইডে ফাঙ্গাস পাওয়া গিয়েছে। তাই ওই সংস্থাকে উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিল ড্রাগ কন্ট্রোল। তবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার যে সমস্ত আইভি ফ্লুইড হাসপাতালে রয়েছে, সেগুলি ব্যবহার করা যাবে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
উল্লেখ্য, জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে সিজ়ারের পর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন একাধিক প্রসূতি। মৃত্যু হয়েছিল মামনি রুইদাস নামে এক প্রসূতিরও। স্যালাইনের বিরূপ প্রতিক্রিয়ার জন্যই মামনির মৃত্যু হয়েছিল বলে দাবি করেছিল পরিবার। ঘটনায় সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য। পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন, ওই ঘটনায় চিকিৎসকদের গাফিলতি পাওয়া গিয়েছে। সেই সময় ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’-এর সরবরাহ করা স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট)-ও স্ক্যানারে আসে।
‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালস’-এর সরবরাহ করা রিঙ্গার ল্যাকটেট-সহ মোট ১০ টি ওষুধ ব্যবহার অবিলম্বে বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিকর্তা অনিরুদ্ধ নিয়োগী। যে মূল্যে ‘পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যাল’ সরকারি হাসপাতালগুলিতে স্যালাইন (রিঙ্গার্স ল্যাকটেট) সরবরাহ করত সেই মূল্যে আরএল সরবরাহ করতে রাজি হয়েছিল ‘ফার্মা ইমপেক্স ল্যাবরেটরিস প্রাইভেট লিমিটেড’। কিন্তু এ বার তাদের আইভি ফ্লুইডেও ফাঙ্গাস পাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যেহেতু সংস্থাকে উৎপাদন বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে সেক্ষেত্রে ভবিষ্যতে কি তাদের সংস্থার আরএল ব্যবহার করা যাবে কি না, তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।