• এসইউভি-র নম্বর মোটরবাইকে, প্রতারণায় ধৃত মালিক
    আনন্দবাজার | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • নির্দিষ্ট গতিবেগের থেকে বেশি গতিতে চলছে মোটরবাইক। এমনটাই চিহ্নিত করেছিল সিসি ক্যামেরা। ট্র্যাফিক আইন অমান্য করার অভিযোগে জরিমানার তথ্য জানাতে গিয়ে পুলিশকর্মীরা দেখেন, সংশ্লিষ্ট নম্বরটি মোটরবাইকের নয়, একটি চার চাকা গাড়ির! মোটরবাইকের নম্বরের একটি সংখ্যায় কারসাজি করে পুলিশের চোখকে ফাঁকি দেওয়ার চেষ্টা করলেও সফল হননি ওই বাইকের মালিক। তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতের নাম অভিজিৎ সাহা। তাঁর বাড়ি হাওড়ায়। মঙ্গলবার হেস্টিংস থানা এবং ট্র্যাফিক বিভাগের পুলিশকর্মীরা যৌথ অভিযান চালিয়ে খিদিরপুর রোড থেকে অভিজিৎকে ধরেন। বুধবার তাঁকে ব্যাঙ্কশাল আদালতে তোলা হয়েছিল। সরকারি আইনজীবী জানান, প্রতারণার অভিযোগে গ্রেফতার হওয়া ওই যুবকের ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত পুলিশি হেফাজত হয়েছে।

    জরিমানা এড়াতে নিজের গাড়ির নম্বর প্লেটের জায়গায় অন্য গাড়ির নম্বর প্লেট লাগিয়ে প্রতারণা নতুন নয়। গত এক মাসে এমন তিনটি ঘটনা লালবাজারের নজরে এসেছে বলে পুলিশ সূত্রের খবর। প্রথম ঘটনায় সিউড়ির এক বিচারকের গাড়ির নম্বর জাল করে নিজের গাড়িতে লাগানোয় হেস্টিংস থানার হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন এক গাড়িচালক। এর কিছু দিন পরেই নদিয়ার একটি পণ্যবাহী গাড়ির নম্বর প্লেট ব্যবহার করে পুলিশকে ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে বৌবাজার থানার পুলিশ এক চালককে গ্রেফতার করে। তার পরেই মঙ্গলবারের এই ঘটনা।

    পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্ত অভিজিৎ প্রতিদিন মোটরবাইক নিয়ে মা উড়ালপুল ধরে যাতায়াত করেন। বেশির ভাগ সময়ে তাঁর বাইকের গতি থাকে নির্দিষ্ট গতিসীমার বেশি। ট্র্যাফিক আইন অমান্য করায় স্বয়ংক্রিয় নম্বর প্লেট রিডিং ক্যামেরায় তা ধরা পড়ে যায়। কিন্তু বিপত্তি বাধে, যখন পুলিশকর্মীরা মোবাইলে জরিমানার তথ্য পাঠাতে যান। দেখা যায়, বাইকের ওই নম্বরটি আদতে হাওড়ার জগৎবল্লভপুরের একটি এসইউভি গাড়ির। এর পরেই লালবাজারের গোয়েন্দারা খুঁটিয়ে প্রতিদিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখতে শুরু করেন। তাতেই ধরা পড়ে, অভিজিতের বাইকের সামনের নম্বর প্লেট ঠিক থাকলেও পিছনের নম্বর প্লেট অন্য। যার একটি সংখ্যা বদলে দেওয়া হয়েছে। এর ফলে জরিমানার বার্তা যাচ্ছে ওই এসইউভি-র মালিকের কাছে।

  • Link to this news (আনন্দবাজার)