১৪৪ বছর পর মহাকুম্ভ। ইচ্ছা ছিল ত্রিবেণী সঙ্গমে অমৃত স্নান করবেন। এক বন্ধুর সঙ্গে সোমবার প্রয়াগরাজে পৌঁছন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির পবনকুমার জানা (৭৫)। মঙ্গলবার পুণ্যস্নান সেরে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু মঙ্গলবার রাত থেকে তাঁর কোনও খোঁজ নেই। উদ্বেগে কাঁথির ছোট বাঁধ তলিয়ার জানা পরিবার। ছেলে আনন্দ জানার চোখে জল। টিভিতে যা দেখছেন, এর পর মন তো কু গাইবেই, বলছেন আনন্দ।
পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথির জুনপুট কোস্টাল থানা এলাকার ছোট বাঁধ তলিয়ার বাসিন্দা পবনকুমার জানা। মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন তিনি। পুণ্যস্নানের সময় হুড়োহুড়িতে হারিয়ে যান। এখন কোথায়, কী অবস্থায় আছেন, সেই উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবারের লোকজনের। বাড়ি থেকে যাওয়ার আগে কাঁথির সাংসদ সৌমেন্দু অধিকারীর সঙ্গেও দেখা করেন ছেলে আনন্দ।
ছেলে আনন্দ জানা জানান, কলকাতায় বলাই দাস নামে তাঁর বাবার এক বন্ধু আছেন । তাঁর পরিবারের সঙ্গেই কুম্ভমেলায় গিয়েছেন প্রণববাবু। যে গাড়িতে গিয়েছিলেন, তাতেই জামা কাপড়, ব্যাগ রেখে স্নান করতে নামেন। বাকিরা বিপদকে পাশ কাটিয়ে ফিরে এসেছেন। কিন্তু খোঁজ নেই পবনকুমারের।
ছেলে আনন্দও বাবার খোঁজে প্রয়াগরাজের পথে এখন। রওনা হওয়ার আগে বলেন, ‘জানি না বাবাকে ফিরে পাবো কি না। তবু এ ভাবে বাড়িতে বসে থাকতে পারছি না।’