কেন হচ্ছে না হাওড়া পুরসভার নির্বাচন? ফের তা রাজ্যের থেকে জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। ৮ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যকে তার উত্তর জানাতে হবে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে।
কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এর আগে নির্দেশ দিয়েছিল, সময় মতো করতে হবে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন। কিন্তু হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করার প্রক্রিয়ায় জটে আটকে যায় নির্বাচন। হাওড়া পুরসভায় দ্রুত নির্বাচন করার আবেদন জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন মৌসুমী রায় নামে এক আবেদনকারী। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে জানানো হয়, ২০২২ সালে হাওড়া থেকে বালি পুরসভাকে আলাদা করার সম্মতি দিয়েছিলেন রাজ্যপাল।
তারপরও নির্বাচন করা হয়নি। এরই পরিপ্রেক্ষিতে এ দিন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমের ডিভিশন বেঞ্চ প্রশ্ন করে, কেন হচ্ছে না হাওড়া পুরসভার নির্বাচন? রাজ্যকে ৮ সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় এই বিষয়ে জবাব দেওয়ার জন্য। উল্লেখ্য, হাওড়া পুরসভায় শেষ নির্বাচন হয় ২০১৩ সালে। সেই বছরে বামফ্রন্টকে হারিয়ে এই পুরসভার ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল। সেই বোর্ডের সময়সীমা ২০১৮ সালে শেষ হয়ে যায়। কিন্তু এরপর বিভিন্ন জটে আটকে যায় পুর নির্বাচন। ২০১৬ সালে বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ডকে হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল রাজ্য সরকার।
ফলে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে ৬৬ হয়। ২০২১ সালে রাজ্য ফের বালি পুরসভাকে হাওড়ার থেকে আলাদা করে দেয়। রাজ্য সরকার ২টি পুরসভাকে আলাদা করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল পাস করেছিল। কিন্তু তা বিধানসভায় পাস করা হলেও এতে সই করেননি বাংলার প্রাক্তন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এই নিয়ে নির্বাচনী জটিলতা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এখনও কেন হাওড়া পুরসভায় নির্বাচন হচ্ছে না? তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে আদালতে মামলা হয়েছিল। তারই প্রেক্ষিতে এ দিনের নির্দেশ।