• ৩ ঠিকাকর্মীর মৃত্যুর পরেও কোথায় শ্রমিকদের সুরক্ষা?
    এই সময় | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • এই সময়, আসানসোল: জনস্বাস্থ্য কারিগরি (পিএইচই) দপ্তরের জলপ্রকল্পে পাইপলাইন বসানোর কাজ করার সময়ে মাটি ধসে চাপা পড়ে মৃত্যু হয় তিন ঠিকাকর্মীর। গত ২১ জানুয়ারি সালানপুর ব্লকের ডালমিয়া এলাকার এই ঘটনায় শ্রমিকদের নিরাপত্তায় গাফিলতির অভিযোগ উঠেছিল পিএইচই দপ্তর ও সংশ্লিষ্ট ঠিকা সংস্থার বিরুদ্ধে। কারণ, ঘটনার সময়ে পাইপ ওয়েল্ডিং করে সেগুলি যখন কর্মীরা বসাচ্ছিলেন তখন তাঁদের কারও মাথায় সেফটি হেলমেট বা পায়ে সেফটি জুতো ছিল না। সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে শ্রমিকদের নিরাপত্তার স্বার্থে পিএইচই দপ্তর যে কোনও উদ্যোগ নেয়নি তা সামনে এল ঘটনার এক সপ্তাহের মাথায়।

    জল জীবন মিশনের অধীন বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে কয়েকশো কোটি টাকা খরচ করে মাইথনে কাজ করছে দক্ষিণ ভারতের একটি বেসরকারি সংস্থা। মাইথন বাঁধের থার্ড ডাইক পিকনিক স্পটের কাছে দামোদরের জলাধারে পানীয় জল সরবরাহের (ইনটেক জেটি) জন্য পিএইচই বিভাগের ব্যাপক কাজকর্ম চলছে। কিন্তু এখানেও শ্রমিকদের নিরাপত্তার কথা ভাবা হচ্ছে না। বুধবার সেখানে গিয়ে দেখা গেল, মাইথন বাঁধের কাছে উপকূল থেকে গভীর জলাধার পর্যন্ত পাইপলাইন স্থাপনের জন্য আরসিসি পিলার তৈরি করা হচ্ছে। সেখানে হেলমেট, সেফটি বেল্ট, সেফটি জুতোর মতো সুরক্ষা সরঞ্জাম ছাড়াই কাজ করতে দেখা যাচ্ছে শ্রমিকদের।

    অন্য দিকে, ওই বেসরকারি কোম্পানির সাইট অফিসের কাছে ভারী ইস্পাতের কাজ যেমন ওয়েল্ডিং, কাটিং, আনলোডিংয়ের মতো কাজ চলছে। সেখানেও ন্যূনতম নিরাপত্তা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন শ্রমিকরা। কোম্পানির সুপারভাইজ়ার থেকে শুরু করে সাধারণ কর্মী— সবাই হেলমেট ছাড়াই কাজ করছেন। এ নিয়ে প্রশ্ন করা হলে কোম্পানির তরফে আসানসোলে পিএইচই দপ্তরের সঙ্গে কথা বলতে বলা হচ্ছে। এই বিষয়ে পিএইচই দপ্তরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে একাধিক বার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। আসানসোলের মহকুমাশাসক বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, ‘আমি এখনই বিষয়টি দেখার জন্য পিএইচই দপ্তরের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে বলছি। নিয়ম মেনে যা কিছু করার করতে হবে।’

  • Link to this news (এই সময়)