ট্যাংরায় হেলে পড়া আবাসনের বাসিন্দাদের পুনর্বাসন দেবে রাজ্য সরকার। এভাবেই তাঁদের আশ্বস্ত করলেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেন, হেলে পড়া দুটি বাড়ির মধ্যে নির্মিয়মান বাড়িটিকে ভাঙবে পুরসভা। তার পর অন্য বাড়িটির স্ট্রাকচারাল অডিট হবে।
এদিন ফিরহাদ বলেন, ট্যাংরায় যে ২টি বাড়ি হেলে পড়েছে তার মধ্যে নির্মিয়মান বাড়িটি বেআইনি। তার কোনও প্ল্যান পুরসভার কাছে নেই। ওই বাড়িটি ভাঙার কাজ শুরু হবে। পাশের বাড়িটি ওই বাড়িটির জন্যই হেলে পড়েছে। অবৈধ বাড়িটি ভাঙার পর ইঞ্জিনিয়াররা ওই বাড়িটির স্ট্রাকচারাল অডিট করবেন। তাতে যদি তাঁরা দেখেন যে বাড়িটিকে কোনওভাবে বাসযোগ্য করা যাবে তাহলে সেই অনুসারে কাজ হবে। নইলে ওই বাড়িটিকেও ভেঙে ফেলতে হবে। ওই বাড়িতে যারা ফ্ল্যাট কিনে বাস করছেন শুধুমাত্র তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। সরকারের তরফে তাদের ঘর করে দেওয়া হবে। তবে যারা ভাড়া দিয়ে রেখেছিল তারা পুনর্বাসন পাবে না।
এখানেই উঠছে প্রশ্ন, বৈধ বাড়ির পাশে অবৈধ বাড়ি যখন উঠছিল তখন কেন বাধা দেয়নি পুরসভা। পুরসভার ব্যর্থতার জন্য সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কেন পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে বৈষম্য? অনেকে বিনিয়োগ হিসাবেও ফ্ল্যাট কিনে রাখেন? তাহলে তারা কেন ক্ষতিপূরণ পাবেন না? না কি বিক্ষোভ সামাল দিতে মন্ত্রীমশাই আপাতত ক্ষোভে জল ঢালার চেষ্টা চালাচ্ছেন?