• 'ভিডিয়ো নিয়ে আর বাড়াবাড়ি করবেন না,' অনুরোধ ক্লাসে 'বিয়ে' করা অধ্যাপিকার
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • নদিয়ার হরিণঘাটার মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি-এর মনস্তত্ত্ব বিভাগের ক্লারুম। সেখানকার একটা ভিডিয়ো সোশ্য়াল মিডিয়ায় একেবারে ঝড়ের মতো ছড়়িয়ে পড়েছিল। ব্যাকাগ্রাউন্ডে শোনা গিয়েছিল যদিদং হৃদয়ং তব, তদিদং হৃদয়ং মম…হাসাহাসি, সিঁদুর পরানো, মালাবদল। এসব দেখে চমকে গিয়েছিলেন অনেকেই। ক্লাসরুমে আবার এসব কী!

    তবে ঘটনা নিয়ে জলঘোলা হতেই সমাজমাধ্য়মে মুখ খুলেছেন ওই অধ্য়াপিকা।

    তিনি বলেন, সকাল থেকেই দেখছি ভিডিয়ো ভাইরাল হচ্ছে। প্রচুর লোকের কমেন্ট আসছে। পজিটিভ, নেগেটিভ.. ভিডিয়ো সম্পর্কে বলি এটা আমার জন্য খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার। একটা ড্রামা ক্লিপ সেটা ভাইরাল হয়েছে। পার্ট অফ ড্রামা ক্লিপ।

    তিনি বলেন, 'একটা ড্রামা ক্লিপ। অরিজিনাল নয়। পার্ট অফ ড্রামা ক্লিপ। যেটা সমাজমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। নাচ গানের ক্লিপ ভাইরাল না হয়ে সাইকো ড্রামা থেকে একটা কিছু কিছু ক্লিপস ভাইরাল করা হল। আমার সাথে আরও কিছু স্টুডেন্টসদের কথা ভাবা হচ্ছে না। তাদের একটা কেরিয়ার আছে। আমার কেরিয়ার তো চলো..অনেকটা এগিয়ে গিয়েছে। কাজ করছি চাকরি করছি। ঠিক আছে আমার কেরিয়ার আমার ব্যাকগ্রাউন্ড যারা আমায় চেনে জানে.. পুরো রিসার্চ ব্যাকগ্রাউন্ড। স্টাডিজ, রিসার্চ, পাবলিকেশন ব্যাকগ্রাউন্ড। আমি এনিয়েই থাকি। আমি মোটিভেশন করি। রিসার্চ করো, বুক চ্যাপটার করো। স্টুডেন্টদের সঙ্গে রিসার্চ করাচ্ছি। আন্তর্জাতিক কনভেনশনে নিয়ে যাচ্ছি। তাদের দিয়ে প্রেজেন্টেশন করাচ্ছি। যাতে ওদের কনফিডেন্স বাড়ে। ওদের ব্যক্তিত্ব বৃদ্ধির জন্য কী করা উচিত। সবাই জানে এটা। আমার অথরিটি জানে, স্টুডেন্টস জানে। সবাই জানে। আমি এসবের উপর ফোকাস থাকা পছন্দ করি। যে ভাইরাল করেছে ভিডিয়োগুলো একবারের জন্য ভাবছে না স্টুডেন্টগুলোর কী হবে। তাদের ভবিষ্যৎ আছে। মেন্টাল স্টেট আছে। কোনওভাবে মনে হয় না.. আমি জোর করে আপনাদের কাছে রিকোয়েস্ট করব, এটা নিয়ে আর না এগোতে। ভিডিয়োসগুলোকে নিয়ে আর বাড়াবাড়ি কিছু না করতে। কারণ যদি কিছু অরিজিনাল ব্যাপার হত সেটা আলাদা ব্যাপার। যেগুলো ফেক, বেসলেস মাতামাতি করে সময় নষ্ট করে লাভ হবে না। বসে আলোচনা করছেন…এর থেকে সবথেকে যারা ক্ষতিকর হচ্ছে স্টুডেন্টরা। ওদের মেন্টাল স্টেবিলিটি এফেক্ট করছে। এর বেশি ওদের মানসিক পরিস্থিতির উপর আঘাত আসুক এটা চাইব না। প্রথম দিন থেকে আমি ওদের সাপোর্টে থাকি। আমার ইমেজ থেকেও বেশি স্টুডেন্টদের মেন্টাল হেলথ যেন কিছু না হয অনুরোধ করছি আপনাদের কাছে কোনও ভিডিয়ো এলে দয়া করে রিপোর্ট করুন। আর আমাকে পারলে সাপোর্ট করুন যাতে স্টুডেন্টদের মানসিক স্থিতি নষ্ট না হয়। আমার দিক থেকে যে লিগাল বিষয় সেটা আমি দেখছি।'

    তিনি বলেন, কে করেছে কি উদ্দেশ্য় নিয়ে করেছে সেটা নিয়ে বলতে চাই না। অথরিটি আছে। বিশ্বাস আছে। ওরা যাচাই করে বের করতে পারবে। কিন্তু আমরা বলব ভিডিয়োগুলো ভাইরাল হওয়ার জন্য় আমার তো মানহানি হচ্ছেই, কিন্তু একবারও মানুষের মাথায় আমার সাথে আরও কিছু স্টুডেন্টস আছে, সেটা ভাবা হচ্ছে না।…
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)