বেআইনি বাড়ি ভাঙতে গিয়ে বৃহস্পতিবারও বাধার মুখে পড়েছেন কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। আর সেদিনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহা। বেআইনি বাড়ি ভাঙতে প্রয়োজনে আধাসেনা মোতায়েন করার হুঁশিয়ারি দিলেন তিনি। বিধাননগর পুর এলাকায় একটি বেআইনি বাড়ি নির্দেশ দেওয়ার এক বছর পরেও ভাঙা না হওয়ায় এই মন্তব্য করেন তিনি। আদালতের নির্দেশের পরে পুরসভার কেষ্টবিষ্টুদের কানে জল ঢোকে কি না সেটাই দেখার।
২০২৩ সালে বিধাননগরের শান্তিনগর এলাকায় একটি অবৈধ বহুতল ভাঙার নির্দেশ দেন বিচারপতি সিনহা। কিন্তু বছর ঘুরলেও সেই বাড়ি ভাঙা হয়নি। এর ফলে দায়ের হয় আদালত অবমাননার অভিযোগ। সেই মামলার শুনানিতে বিচারপতি সিনহা বলেন, দরকারে বাড়ি ভাঙতে আধাসেনা মোতায়েনের নির্দেশ দেব। কাজ কী করে রাতে হয় সে আমি ভালো করে জানি।
তবে বিচারপতি যে অত্যুক্তি করেননি তার হাতে গরম প্রমাণ অবশ্য রয়েছে। শিক্ষা দুর্নীতি মামলায় কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহ করতে বারবার বাধার মুখে পড়ছিল ইডি। বন্ধ আদালতে শুনানি করে এক বেলায় কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠস্বরের নমুনা সংগ্রহের ব্যবস্থা করেছিলেন বিচারপতি সিনহাই। বিচারপতি সিনহার বিচক্ষণতায় কাজ করেনি মমতা সরকারের জারিজুরি।
বলে রাখি, বৃহস্পতিবার ট্যাংরার ক্রিস্টফার রোডে হেলে পড়া বহুতল ভাঙতে যান কলকাতা পুরসভার কর্মীরা। সেখানে গিয়ে ওই ভবনের বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। সারা দিন অপেক্ষ করেও বাড়িতে একটা হাতুড়ির বাড়ি মারতে পারেননি পুরকর্মীরা। সন্ধ্যায় রণে ভঙ্গ দিয়ে ফিরে যান তাঁরা।