'কান মুলছি, আর কোনও দিন কুম্ভে যাব না,' ভয়াবহ অভিজ্ঞতা আলিপুরদুয়ারের মহিলার
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
শুক্লা দেবনাথ। আলিপুরদুয়ারের হাসিমারার বাসিন্দা। সমাজকর্মী। পূণ্য অর্জনের জন্য একাই গিয়েছিলেন মহাকুম্ভে। কিন্তু সেখানে গিয়ে যে ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সাক্ষী হয়েছেন তিনি তা শুনলে অনেকেরই আর হয়তো কুম্ভে যেতে ইচ্ছা করবে না। কোনওরকমে প্রাণে বেঁচেছেন তিনি। সারা শরীরে আঘাত। তাঁর দাবি অন্তত ২০জন তাঁর উপর পড়ে গিয়েছিলেন। সাহায্যের জন্য় তিনি বার বার আবেদন করেছেন। কিন্তু কেউ এগিয়ে আসেননি। গাছের তলায় রাত কাটিয়েছেন।একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি।
এবিপি আনন্দে মুখ খুলেছেন তিনি। ভিডিয়ো কলে তিনি সেই রাতের ভয়াবহ পরিস্থিতির কথা বর্ণনা করেন।
মহাকুম্ভে একেবারে মৃত্য়ুমিছিল। অন্তত ৩০জনের মৃত্য়ু হয়েছে পদপিষ্ট হয়ে। সঙ্গমে স্নান করতে গিয়ে পদদলিত হয়ে মৃত্য়ু। জখম হয়েছেন অনেকে। যোগী সরকারের বিরুদ্ধে চরম অব্য়বস্থার অভিযোগ উঠেছে। সব মিলিয়ে একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি।
এদিকে সেই কুম্ভ থেকে যাঁরা ফিরে এসেছেন প্রাণ হাতে করে তাঁদের অনেকেই সেই চরম অব্যবস্থার কথা তুলে ধরেছেন। তাঁদের অনেকের দাবি, পুলিশ প্রশাসন কোনও ব্যবস্থা করেনি। কোথা দিয়ে যাব সেটাও বলতে চাইছে না পুলিশ। লক্ষ লক্ষ মানুষ। কোথাও কোনও সহায়তা নেই। মানুষ হারিয়ে যাচ্ছে প্রবল ভিড়ে।
হাতজোড় করে বলছি আপনারা আসবেন না। বললেন আলিপুরদুয়ারের শুক্লা দেবনাথ।
হাসিমারার শুক্লা দেবনাথ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, একজন বৃদ্ধাকে বাঁচাতে গিয়ে পড়ে যাই। এরপর আমার উপর আরও ২০জন পড়়ে যান। কিন্তু কেউ সাহায্যের জন্য এগিয়ে আসেননি। কোনওরকমে সেখান থেকে বেরিয়ে আসেন তিনি। সারা শরীরে আঘাত। তিনি বলেন, হাতজোড় করে বলছি এই মৃত্য়ু মিছিলে আসবেন না। তিনি বলেন, এই কান মুলছি আর কোনও দিন কুম্ভে আসব না। আর কেউ আসতে চাইলেও বারণ করব। কারণ একজনের প্রাণ বাঁচানোটাও আমার কর্তব্য।
তিনি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, গাছের নীচে রাত কাটিয়েছি। ফোন চার্জ দেওয়ার জন্য কোনওরকমে বেরিয়ে আসি। ব্যাগপত্র কিছু খুঁজে পাচ্ছি না। কী করব কিছু বুঝতে পারছি না।
এদিকে পলতা থেকে কয়েকজন গিয়েছিলেন কুম্ভ মেলায়। তাঁদেরও অভিজ্ঞতা ভয়াবহ। তাঁরা বলেন, ওখানে কেউ নেই যারা আপনাদের গাইড করে দেবে। … ফোন কাজ করে না। নেট কাজ করে না। লাইভ লোকেশনও পাঠানো যায় না। হাঁটার সময় খাবারও পেলাম না। একেবারে ভয়াবহ পরিস্থিতি। আমরা হাঁটার প্রস্তুতি নিয়েই এসেছিলাম। কিন্তু এমন হবে ভাবিনি।