• টাকা দিয়ে চুপ করানোর চেষ্টা, কারা প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করছে, বললেন নির্যাতিতার বাবা
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • আরজি করে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় দোষী সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরপরই সঞ্জয়ের ফাঁসির আবেদন করে উচ্চতর আদালতে চলে যায় রাজ্য সরকার। তবে রাজ্য সরকারের এই আগ বাড়িয়ে আচমকা এত তৎপরতাকে মানতে পারেননি নির্যাতিতার মা বাবা। আর তারপরই তৃণমূলের একাধিক নেতা কার্যত রে রে করে ঝাঁপিয়ে পড়েছেন নির্যাতিতার পরিবারের উপর। এমন কিছু মন্তব্য তাঁরা করছেন তা কতটি শোভনীয় তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

    একদিকে মেধাবী কন্যাকে হারিয়েছেন তাঁরা। হাসপাতালে ডিউটিতে ছিলেন তিনি। সেই সময় তাঁকে ধর্ষণ ও খুন। গোটা পৃথিবী চমকে উঠেছিল সেই ঘটনায়। কিন্তু তারপর থেকে যেভাবে নির্যাতিতার বাবা মাকে নিশানা করেছেন তৃণমূলের নেতারা তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। 

    এনিয়ে পালটা জবাবও দিয়েছেন নির্যাতিতার বাবা মা। কিন্তু প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে, বাড়িতে এতবড় বিপর্যয়ের পরেও কি এটাই প্রাপ্য ছিল নির্যাতিতার পরিবারের?

    তবে কেবলমাত্র তৃণমূলের নেতাদের উপর নয়, এবার তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের উপরেও একেবারেই সন্তুষ্ট নন নির্যাতিতার বাবা মা। টিভি ৯এর প্রতিবেদনে জানা গিয়েছে, বুধবার নির্যাতিতার বাবা বলেছিলেন, একটা কথা বলতে হচ্ছে, সিবিআই আমাদের তদন্ত করতে এসেছিল। এখন আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করছে। এজন্য আমাদের সমস্যা দিন দিন বাড়ছে। আশা করছি হাইকোর্টে মামলার চাপ সৃষ্টি করে সিবিআইকে দিয়ে কাজ করাতে পারব। 

    এখানেই শেষ নয়। নির্যাতিতার বাবা জানিয়েছেন, সিবিআই আমাদের প্রতিপক্ষ হয়ে কাজ করছে, এটাই দুর্ভাগ্যজনক। 

    এদিকে এর আগেই তৃণমূল নেতারা বলেছিলেন, নির্যাতিতার পরিবারই তো সিবিআইকে চেয়েছিলেন। এনিয়ে এবার নির্যাতিতার পরিবারের তরফে বলা হয়েছে, কেন্দ্রীয় সংস্থাকে আমরা আনিনি। আমরা ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্ত চেয়েছিলাম। হাইকোর্টে ভালো বুঝেছে সিবিআইকে তদন্তভার দিয়েছে। এখন সিবিআই ঠিক মতো কাজ না করলে কোর্টকে তার জবাব দিতে হবে।

    আর তৃণমূলের নেতাদের নানা বিরূপ মন্তব্য প্রসঙ্গে নির্যাতিতার বাবা বলেন, এসব নিয়ে মন্তব্য করতে বিরক্ত লাগছে। প্রথম দিন থেকে রাজ্য সরকার আমাদের টাকা দিয়ে চুপ করানো চেষ্টা করেছে। এই ধরনের মন্তব্য আশা করি না। কিন্তু সহ্য করতে হচ্ছে। রায়ের কপি না পড়েই অনেকে খারাপ মন্তব্য করছেন। কোথাও থেকে হয়তো নির্দেশ রয়েছে, তাই বলছেন। রায়ের কপি পড়লে এমন মন্তব্য করতেন না। 
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)