• ‘‌আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না’‌, স্বাস্থ্যসাথী নিয়ে মামলা খারিজ হাইকোর্টের
    হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • রাজ্যবাসীকে বিনামূল্যে উন্নত স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করে ছিল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রকল্পে গরিব মানুষ এখন খুব সহজেই বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা পরিষেবা পান। এই স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে ৫ লাখ টাকা পর্যন্ত খরচ রাজ্য সরকার বহন করে। এই প্রকল্পের বিরোধিতায় করে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন এক এনআরআই চিকিৎসক। তাঁর বক্তব্য ছিল, নির্বাচনে লাভ তোলার জন্যই এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। এই প্রকল্পের বাস্তব কোনও ভিত্তি নেই। আজ, বৃহস্পতিবার এই মামলার শুনানিতে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানমের পর্যবেক্ষণ, যেহেতু ‘‌স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প’‌ সম্পূর্ণ সরকারি সিদ্ধান্ত তাই সরকারের নির্দিষ্ট পলিসি মেনে এই প্রকল্প চালু করা হয়েছে। সেক্ষেত্রে আদালত এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না।

    এদিকে জনহিতের জন্যই স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প করা হয়েছে বলে জনস্বার্থ মামলা খারিজ করে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। ২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে বাংলার প্রতিটি পরিবারকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনার কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথা ছিল, বাংলার প্রত্যেকটি পরিবার বিনামূল্যে বার্ষিক ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত চিকিৎসা পরিষেবা পাবেন। বেসরকারি হাসপাতালে এই কার্ড দিয়ে চিকিৎসা করানো যাবে। নির্বাচনের ফল প্রকাশের পরই প্রত্যেক জেলায় ‘‌দুয়ারে সরকার’‌ শিবির হয়। সেখানে গিয়ে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড করিয়ে ফেলেন আমজনতা। বহু মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন কঠিন সময়ে।


    অন্যদিকে ‘স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প’ নিয়ে একটি সংস্থা কলকাতা হাইকোর্টে মামলাটি দায়ের করেছিল ২০২১ সালে। তাদের হয়ে সওয়াল করেছেন চিকিৎসক কুণাল সাহা। তাঁর বক্তব্য, নির্বাচনের লাভের অঙ্ক মাথায় রেখে রাজ্য সরকার স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্প চালু করেছে। এতে পরিবারপিছু স্বাস্থ্য খাতে ৫ লক্ষ টাকা বিমার কথা বলা হলেও সেই সুবিধা বেশিরভাগ মানুষই পান না। মামলাকারীর আইনজীবী ছিলেন সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়। আইনজীবীর সওয়াল শুনে আজ, বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, ‘ধরুন এই প্রকল্প নেই। তখন কী বলবেন? আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। প্রয়োজনে বিধায়ক এবং সাংসদদের সঙ্গে কথা বলুন।’‌

    এছাড়া এই মামলা খারিজ করে দিয়ে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, এই প্রকল্প জনস্বার্থে শুরু করা হয়েছে। নির্বাচিত সরকার নিজেদের মতো বিচার বিবেচনা করে প্রকল্পের সূচনা করতেই পারে। ওই প্রকল্প সরকার কীভাবে পরিচালনা করবে সেটা তাঁদের সিদ্ধান্ত। সেখানে আদালত হস্তক্ষেপ করতে পারে না। আর এই বিষয়ে কোনও হস্তক্ষেপ করবে না। এই পর্যবেক্ষণ শুনে মাথা নিচু করে এজলাস ছাড়েন ওই আইনজীবী।
  • Link to this news (হিন্দুস্তান টাইমস)