পুলিশ কর্মীদের বড় নির্দেশ দিলেন কমিশনার মনোজ ভার্মা, জরুরি তথ্য পেয়ে উদ্যোগ
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
স্বাস্থ্যই সম্পদ। এই কথা যুগ যুগ ধরে মানুষ শুনে আসছেন। কিন্তু অনেক সময়ই মানুষ সব জেনে শুনেও সচেতন হন না। তার ফলে রোগভোগ থেকে শুরু করে শরীরে মেদ বাসা বাঁধে। এই বিষয়টি যাতে না হয় তার জন্য নিজে রোজ ট্রেডমিলে হাঁটেন তিনি। আর সকলকে শরীর–স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ব্যায়ামের নির্দেশও দেন তিনি। হ্যাঁ, তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০২৪ সালে উত্তরবঙ্গের প্রশাসনিক বৈঠক থেকে ভারী চেহারার এক পুলিশ কর্তাকে প্রশাসনিক প্রধানের পরামর্শ ছিল, ‘এবার একটু শরীরচর্চা করুন।’ তিনি শুনে জবাব দেন, ‘হ্যাঁ, ম্যাডাম করি।’ যা শুনে ক্ষুব্ধ পুলিশমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘কেমন হাঁটাহাঁটি করেন সেটা তো আপনার মধ্যপ্রদেশ দেখেই বোঝা যাচ্ছে।’ হাসির রোল ওঠে তখন। এবার পুলিশ কর্মীদের যোগ–ব্যায়ামের উপর জোর দিলেন পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা।
মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী সেদিন যে কথা বলেছিলেন এবার সেই নির্দেশই নগরপালের পক্ষ থেকে পৌঁছে গেল পুলিশ কর্মীদের কাছে। এবার একেবারে নির্দেশ আকারে তা পুলিশ কর্মীদের শোনালেন কলকাতার পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। এবার কলকাতা পুলিশের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে পুলিশ কর্মীদের শারীরিক গঠন নিয়ে উষ্মাপ্রকাশ করেন মনোজ ভার্মা। আর তখনই সাফ জানিয়ে দেন, ‘ফিজিক্যাল ফিটনেস খুবই জরুরি। তার জন্য এখন থেকে প্রত্যেক পুলিশ কর্মীকে দেড় থেকে দু’ঘণ্টা শরীর চর্চা করতে হবে।’ এই পরামর্শ খোদ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের থেকে আসায় সেটি এখন নির্দেশে পরিণত হয়েছে।
আসলে শরীরে বাড়তি মেদ নিয়ে তো দ্রুত কাজ করা যায় না। আবার বেশি পরিশ্রমও করা যায় না। সেদিকে তাকিয়েই পুলিশ কর্মীদের এমন নির্দেশ দিয়েছেন নগরপাল। যোগ–ব্যায়ামই শরীরে মেদ ঝরিয়ে ফুর্তি নিয়ে আসবে বলে মনে করেন মনোজ ভার্মা। এই খবর জানাজানি হতেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হয় নগরপালকে। সেই সূত্রেই পরে সাংবাদিকদের পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা বলেন, ‘আমাদের পেশায় শারীরিকভাবে ফিট থাকা খুব জরুরি। সবাইকে তাই আমি বলেছি, শরীরচর্চার জন্য দিনে দেড় থেকে দু’ঘণ্টা দিতে হবে। সকালে অথবা বিকেলে সেটা করতে হবে। আমরা ফিজিক্যাল ফিট যদি থাকি তাহলে কাজে আমাদেরই সুবিধা হবে।’
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা পুলিশমন্ত্রী অত্যন্ত ফিট। পাহাড় থেকে সমতল যেভাবে দ্রুত গতিতে হাঁটেন তাতে অনেকেই এখনও তাঁর সঙ্গে পা মেলাতে হাঁপিয়ে যান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা ফিট সেটা ২৩ জানুয়ারি চাক্ষুষ করেছিল আলিপুরদুয়ারের সুভাষিণী চা–বাগানে হাজির হওয়া হাজার হাজার মানুষজন। দিদি, দিদি বলে ডাক শুনে হাসিমুখে জনতার ভিড়ে গিয়ে তিন ধাপের বাঁশের ব্যারিকেডে প্রথম ধাপেই উঠে পড়েন তিনি। সেখানে পুলিশ দৌড়ে কাজ করতে গিয়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। এমন অভিযোগ অনেক ক্ষেত্রেই আছে। তাই পুলিশ কর্মীদের সতর্ক করে কলকাতার পুলিশ কমিশনার যা বলেছেন পুলিশ কর্মীদের তাতে ভারী চেহারার পুলিশ কর্মীরা বেশ চাপে পড়লেন।