• জাল ডিমান্ড ড্রাফটের ফাঁদে পা দিয়ে সর্বনাশ, কী ভাবে পর্দাফাঁস বাঁকুড়া পুলিশের?
    এই সময় | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
  • চেক জালিয়াতি নয়, ওটিপি প্রতারণা নয়, আধার কার্ড ব্যবহার করে অ্যাকাউন্ট সাফ করে দেওয়ার ঘটনাও নয়। বাঁকুড়ায় সামনে এল একেবারেই অন্য ধরনের আর্থিক জালিয়াতি। ভুয়ো ডিমান্ড ড্রাফট দিয়ে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে গাড়ি কেনার ছক কষেছিল কয়েকজন প্রতারক। প্রাথমিকভাবে সফল হলেও শেষ পর্যন্ত কলকাতা থেকে বাঁকুড়ার পুলিশের হাতে ধরা পড়ল তারা। গাড়ি এবং প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত একাধিক জিনিস বাজেয়াপ্ত করেছে বাঁকুড়ার ছাতনা থানার পুলিশ।

    কী ভাবে প্রতারণা?

    পুরনো জিনিস কেনাবেচার ওয়েবসাইট ঘেঁটে শিকার বেছে নিয়েছিল প্রতারকেরা। ওই ওয়েবসাইটে পুরোনো গাড়ি বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন বাঁকুড়ার ছাতনা ব্লকের ঝাঁটিপাহাড়ি এলাকার এক বাসিন্দা। তিনি তাঁর চারচাকা গাড়ি বিক্রি করার বিজ্ঞাপন দিয়েছিলেন। তা দেখে গাড়ি কেনার আগ্রহ প্রকাশ করে প্রতারকেরা ফোন করে বাঁকুড়ার ওই ব্যক্তিকে। টেলিফোনে দরদাম হয়। ৮ জানুয়ারি দেখা করতে আসে প্রতারকেরা। গাড়ির মালিককে ৯ লক্ষ ২০ হাজার টাকার ডিমান্ড ড্রাফট দিয়ে গাড়ি নিয়ে চলে যায় প্রতারকরা। পরে ওই ডিমান্ড ড্রাফট ব্যাঙ্কে জমা করতে গিয়ে গাড়ির মালিক বুঝতে পারেন যে, তা জাল ড্রাফট।

    প্রতারিত হয়েছেন বুঝতে পেরেই তিনি ছাতনা থানায় গিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হন। ছাতনা থানার এসআই অনিমেষ চরের নেতৃত্বে তদন্ত শুরু হয়। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে কলকাতার একটি যোগ খুঁজে পায়। বিভিন্ন সূত্র ও প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে কলকাতা ও সংলগ্ন এলাকা থেকে প্রথমে ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের হেফাজত থেকে উদ্ধার হয় খোয়া যাওয়া দামী চারচাকা গাড়িও। এরপর ধৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ওই চক্রের আরও ৪ জনের সন্ধান পায় পুলিশ। এরপরেই তাদের গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা। এই ঘটনায় মোট ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে রয়েছে ওই প্রতারণা চক্রের মূল পান্ডা নিতাই মাইতি। সে বেহালার সরশুনার বাসিন্দা। পুলিশ ৮টি মোবাইল ফোন, ভুয়ো ডিমান্ড ড্রাফট-সহ বিভিন্ন নথি উদ্ধার করেছে। বিষয়টি নিয়ে বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার বৈভব তেওয়ারি ছাতনা থানার এই সাফল্যের প্রশংসা করেছেন।

  • Link to this news (এই সময়)