নোংরা আবর্জনায় ভরছে হাওড়া শহর। অথচ এই শহরকে আবর্জনামুক্ত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এ জন্য তিনি দায়িত্ব দিয়েছিলেন উত্তর হাওড়ার বিধায়ক গৌতম চৌধুরীকে। আবর্জনা ভ্যাটে নিয়ে যাওয়ার জন্য কেনা হয়েছিল বিশেষ এক ধরনের জঞ্জালবাহী গাড়ি। সেই গাড়িগুলিই এখন রাস্তার ধারে অকেজো হয়ে পড়ে আছে। এ নিয়ে হাওড়া পুরসভাকে নিশানা করেছেন বিরোধীরাও। ওই গাড়িগুলি আর ব্যবহার করা যাবে না বলেই জানিয়েছেন পুরসভার এক নম্বর বরো চেয়ারম্যান রায়চরণ মান্না।
বছর কয়েক আগেই হাওড়া শহরকে ‘গ্রিন সিটি ক্লিন সিটি’করার উদ্যোগ নিয়েছিল হাওড়া পুরসভা।সকালবেলাতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে যাতে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহের জন্য কয়েক কোটি টাকা খরচ করে কেনা হয়েছিল বেশ কিছু মালবাহী গাড়ি। এই জন্য টাকা দিয়েছিল রাজ্য এবং কেন্দ্র সরকারও।
সেই উদ্যোগই এখন মুখ থুবড়ে পড়েছে। কারণ সেই গাড়িগুলিই অকেজো হয়ে পড়ে আছে। রাস্তার ধারে দেখা মেলে সেই গাড়িগুলির। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি পড়ে রয়েছে সত্যবালা হসপাতালে।
পুরসভার বিরোধী দলনেতা উমেশ রায় বলেন, ‘এরা শুধুমাত্র এককালীন টাকা খরচ করে, যাতে কাটমানি খেতে পারে। তা ছাড়া অন্য কোনও কাজ করেনা।’ এই নিয়ে পুরসভা যে সিদ্ধান্ত নেবে তাই করা হবে বলে জানিয়েছেন রায়চরণ মান্না।
হাওড়া পুরসভার প্রশাসক সুজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন ওই গাড়িগুলির বেশিরভাগই আর ব্যবহার করা যাবে না। তিনি বলেন, ‘এই গাড়িগুলি দ্রুত মেরামত করার জন্য বলা হয়েছে। যে গাড়িগুলি ঠিক করা হবে সেগুলি ব্যবহার করা হবে। অন্য গাড়িগুলি পুরোপুরি বাতিল করে দেওয়া হবে। ’
বাসিন্দাদের দাবি, তাদের নোংরা এবং দুর্গন্ধের মধ্যে দিন কাটাতে হচ্ছে। পুরসভা আগেই এই নিয়ে পদক্ষেপ নিলে এই অবস্থার মধ্যে পড়তে হতো না তাঁদের। এর পরেও কী আবার গাড়ি কেনার নামে টাকা পকেটে ভরা হবে তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তাঁরা।