পদত্যাগ, সোশ্যাল মিডিয়ায় ক্লাব কর্তাদের আক্রমণ করে লম্বা পোস্ট, বৈঠক, পদত্যাগ প্রত্যাহার করা। মহামেডান ক্লাবে আন্দ্রে চের্নিশভের সফরকে গত একদিনে বর্ণনা করলে এ ভাবেই করতে হবে। ২৯ তারিখ মহামেডান দলের কোচের পদ থেকে সরে দাঁড়ান চের্নিশভ। আর ৩০ তারিখ প্রেস বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়, কোচ থাকছেন চের্নিশভ।
২৯ তারিখ আন্দ্রে চের্নিশভের বিদায়ের খবর আসতে নড়চড়ে বসে মহামেডান দলের দুই ইনভেস্টর বাঙ্কার হিল ও শ্রাচী স্পোর্টস। ২৯ তারিখেই চের্নিশভের সঙ্গে বৈঠকে বসেন শ্রাচী ও বাঙ্কার হিলের দুই কর্তা, ক্লাবের পক্ষ থেকে ছিলেন দীপেন্দু বিশ্বাস। কোচকে ধরে রাখার চেষ্টা করা হয়। অবশেষে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক শেষে বরফ গলে। কোচের পদে থাকার সিদ্ধান্ত নেন চের্নিশভ। ফিরিয়ে নেন তাঁর পদত্যাগপত্র।
শনিবার মোহনবাগানের বিরুদ্ধে ডাগআউটে থাকবেন না চের্নিশভ। শোনা যাচ্ছে, ছুটিতে যাচ্ছেন তিনি। ফলে দুটো ম্যাচে তিনি থাকতে পারবেন না, ছুটি কাটিয়ে এসে ফের তিনি দায়িত্ব নেবেন।
কী অভিযোগ ছিল চের্নিশভের?
গত তিন মাস ধরে বেতন না পেয়ে চের্নিশভ ফিফায় যান। এর পর ফিফা থেকে সাদা কালো শিবিরকে ১৫ দিনের সময় দেওয়া হয় বেতন শোধের জন্য। কিন্তু ১৫ দিনেও বেতন দেয়নি মহামেডান। এর পরেই চের্নিশভ সরার সিদ্ধান্ত নেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে চের্নিশভ জানান, তাঁকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়েছে এবং পুরো দোষ তিনি দেন মহামেডান ক্লাব কর্তাদের উপর। পাশাপাশি এটাও জানান, ৩ মাস বেতন না পেয়ে কাজ করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। এর ২৪ ঘণ্টারও কম সময়ে পাল্টে গেল সিদ্ধান্ত। থেকে গেলে চের্নিশভ।