জার্মানির গুণিজনদের শ্রদ্ধা, কাফকা-মুলারদের নামে নামাঙ্কিত কলকাতা বইমেলার বিভিন্ন সরণি
প্রতিদিন | ৩০ জানুয়ারি ২০২৫
দিশা ইসলাম, বিধাননগর: সংস্কৃতির শহরে শুরু হয়ে গেল বইয়ের উৎসব। ২৮ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে চলবে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। এবছর কলকাতা বইমেলার থিম কান্ট্রি জার্মানি। তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে জার্মান ও ভারতীয় সাহিত্যিক ও গুণিজনের নামে মেলা প্রাঙ্গনের বিভিন্ন সরণির নামকরণ করা হয়েছে। রিলকে, ব্রেখট, কাফকা, মুলারদের নামে নামাঙ্কিত বিভিন্ন প্যাভিলিয়ন। তবে এবছর বাংলাদেশের কোনও স্টল থাকছে না বইমেলায়।
মেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড কর্তারা বলছেন, মেলায় জনস্রোতের মাঝে অনেকেই সঙ্গীহারা হয়ে পড়েন। সরণির নামকরণের সুবিধা হল, নিখোঁজ দর্শকদের হদিশ দেবে সহজে। আজই বিকেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বোধন করবেন মেলার। তাঁর ঘণ্টাধ্বনিতে ৪৮তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আনুষ্ঠানিক সূচনা হবে।
বইমেলার প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার বইমেলা প্রাঙ্গণে প্রেস কর্নারে সাংবাদিক বৈঠকে গিল্ডের সভাপতি ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ছোট, বড় স্টল এবং লিটল ম্যাগাজিন মিলিয়ে এবছর বইমেলায় হাজারের বেশি স্টল বসছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান মঞ্চে বিশিষ্ট লেখক আবুল বাশারকে জীবনব্যাপী সাহিত্য সম্মান হিসাবে ২ লক্ষ টাকা পুরস্কার প্রদান করা হবে। মেলায় প্রবেশের জন্য থাকছে ৯টি গেট। দেশ-বিদেশের নামী স্থাপত্যের অনুকরণে তৈরি হচ্ছে সেসব প্রবেশপথ।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি মেলা প্রাঙ্গণে বরিষ্ঠ নাগরিক দিবস ‘চিরতরুণ’ পালিত হবে। সেখানে সাহিত্যিক জয় গোস্বামী, প্রকাশক রঞ্জন সরকার এবং পাঠক সত্যব্রত ঘোষালকে সম্মান প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিদিন লটারির মাধ্যমে ১৫ জন বইক্রেতা ১ হাজার টাকার বুক গিফট কুপন পাবেন। গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক সুধাংশু দে বলেন, “বইমেলা প্রাঙ্গণে রোজই বিপুল জনসমাগম তৈরি হয়। ছুটির আগত দর্শকদের হাতের নাগালে অর্থাৎ অনলাইন অ্যাপ ক্যাব ও মোটরবাইক চালকদের জন্য ১ নম্বর গেটের কাছে পৃথক পার্কিং জোনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।”