• নাম শুনেই জিভে জল! হরেক স্বাদের পাঁপড়ে জীবনটা ভাজা-ভাজা নয়, মনটা তাজা-তাজা হয়ে যায় যেন...
    ২৪ ঘন্টা | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
  • চিত্তরঞ্জন দাস: 'আর কতদিন থাকবে মুখে ক্লোজ আপের হাসি?/ দ্রোহের তাপে তেলটা গরম পাপড় ভাজুন মাসি।।' কৃষ্ণনগর, হাসনাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নিয়ে আসা হয়েছে ২৭ রকমের পাঁপড়। সেইসব পাঁপড় নিয়েই বসেছে অভূতপূর্ব এক পাঁপড়ের মেলা। 

    সত্যিই অভূতপূর্ব! এমনই অভিনব উদ্যোগ পশ্চিম বর্ধমান জেলার দুর্গাপুরের 'ইস্পাতনগরী দুর্গাপুর আলো ওয়েলফেয়ার সোসাইটি'র। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই মেলার উদ্বোধন করলেন দুর্গাপুর নগর নিগমের প্রশাসক মণ্ডলীর চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায়, সদস্যা রাখি তিওয়ারি।

    উদ্যোক্তা পল্লবরঞ্জন নাগ বলেন, 'প্রতি বছরই আমরা ইস্পাত নগরীর মানুষকে নতুন কিছু উপহার দিয়ে থাকি। মাছে-ভাতে বাঙালির জন্য মাছভাত তো থাকছেই। তবে এবার তিন দিনের এই মেলার উদ্বোধন আমরা করছি পাঁপড় দিয়ে! পাঁপড় দিয়েই এবারের মেলার যাত্রা শুরু।' 

    শুধু পাঁপড়ের মেলা? তা হলে তো অনেক রকম পাঁপড় থাকবে! কত রকম পাঁপড় থাকছে এখানে?

    পল্লবরঞ্জন নাগই জানান, 'কৃষ্ণনগর, হাসনাবাদ-সহ রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছে লঙ্কার পাঁপড়, ধনেপাতার পাঁপড়, চিংড়ি মাছের পাঁপড়-সহ মোট ২৭ রকমের পাঁপড়। তিন দিনের এই মেলায় উদ্বোধনের দিনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে খাওয়ানো হচ্ছে পাঁপড়। অন্যান্য দিনগুলিতেও থাকবে পাঁপড় খাওয়ার এবং খাওয়ানোর সুযোগ। তবে সেই সব দিনের জন্য দিতে হবে মাত্র ১০ টাকা করে! সেই ১০ টাকাতেই ১৭ রকমেরই পাঁপড় খাওয়ানো হবে! সঙ্গে খাওয়ানো হবে মাছভাত।' শাসক মণ্ডলের চেয়ারপার্সন অনিন্দিতা মুখোপাধ্যায় বলেন, 'পল্লবরঞ্জন নাগের দ্বারা আমরা নতুন নতুন খাদ্যমেলা দেখতে পাই। আমরা খুব উৎসাহিত এই মেলায় এসে।'

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)