হাওড়ায় কেন পুরভোট হচ্ছে না? রাজ্যকে ৮ সপ্তাহের মধ্যে জানাতে বলল হাইকোর্ট
হিন্দুস্তান টাইমস | ৩১ জানুয়ারি ২০২৫
২০১৩ সালে শেষ বার হাওড়া পুরসভায় নির্বাচন হয়েছিল। তারপর আর হাওড়ায় পুরভোট হয়নি। এই অবস্থায় ফের হাওড়ায় ভোট নিয়ে রাজ্যের অবস্থান জানতে চাইল কলকাতা হাইকোর্ট। বৃহস্পতিবার কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম এবং বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্য়ের ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্যকে নির্দেশ দিয়েছে, কেন হাওড়া পুরসভায় ভোট করা হচ্ছে না তা আগামী ৮ সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট দিয়ে জানাতে হবে।
হাওড়া পুরভোট নিয়ে এর আগে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। তখন আদালত সময় মতো নির্বাচন করাতে হবে বলে নির্দেশ দিয়েছিল। কিন্তু, তারপরে নির্বাচন না হওয়ায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন মৌসুমী রায় নামে একজন আবেদনকারী। তার ভিত্তিতে ফের রাজ্য সরকারের কাছে অবস্থান জানতে চেয়েছে হাইকোর্ট। কেন হাওড়া পুরসভায় ভোট হচ্ছে না? তা রাজ্যকে জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, হাওড়া পুরসভায় শেষবার নির্বাচন হয়েছিল ২০১৩ সালে। তখন বামেদের হারিয়ে পুরসভা দখল করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয় ২০১৮ সালে। এদিকে, বালি পুরসভায় ভোট হয়েছিল ২০১৫ সালে। নির্বাচিত বোর্ডের মেয়াদ ফুরিয়ে যেতেই দু’ক্ষেত্রেই প্রশাসক বসিয়ে কাজ চালাতে হচ্ছে। এবারের লোকসভা নির্বাচনের প্রচারে হাওড়ায় বিরোধীরা পুরসভার পরিষেবার বেহাল দশার অভিযোগ তুলে সেখানে প্রচার চালিয়েছিল। অভিযোগ ওঠে, কোনও পুর প্রতিনিধি না থাকায় পরিষেবা পেতে গিয়ে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। কিন্তু, তারপরও হাওড়া লোকসভা আসন তৃণমূল কংগ্রেস জেতে।
এর আগে ২০১৬ সালে বালি পুরসভার ৩৫টি ওয়ার্ড হাওড়া পুরসভার সঙ্গে যুক্ত করা হয়। এরফলে হাওড়া পুরসভার ওয়ার্ডের সংখ্যা ৫০ থেকে বেড়ে হয় ৬৬। ২০২১ সালে বালি পুরসভাকে হাওড়ার থেকে আলাদা করে দেওয়া হয়। এই ভাগাভাগির জেরে হাওড়া পুরসভার নির্বাচন নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়। কারণ রাজ্য সরকার এনিয়ে বিধানসভায় বিল পাস করেছিল। তবে তৎকালীন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সেই বিলে সই করতে চাননি। এই নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছিল। যদিও।এর মধ্যে বেশ কয়েক বার পুরভোট করানোর চেষ্টা হয়েছে হাওড়ায়। তবে শেষ পর্যন্ত ভোট হয়নি। এবার এনিয়ে রাজ্যের কাছে জানতে চায়ল হাইকোর্ট।