সংবাদদাতা, বেলদা: পিছিয়ে পড়া আদিবাসী অধ্যুষিত ব্লক কেশিয়াড়ি। স্বাধীনতার সময় ওই ব্লকের জয়কৃষ্ণপুর এলাকায় কোনও বিদ্যালয় ছিল না। পরবর্তীকালে স্থানীয় শিক্ষানুরাগীদের উদ্যোগে ১৯৬৫ সালে জয়কৃষ্ণপুর নেহরু বিদ্যাপীঠ প্রতিষ্ঠিত হয়। ইতিমধ্যেই হাঁটি হাঁটি পা পা করে এই বিদ্যালয় হীরক জয়ন্তী বর্ষ পূরণ করে ফেলল। হীরক জয়ন্তী বর্ষপূর্তির সমাপনী অনুষ্ঠান দু’দিন ধরে চলে। বৃহস্পতিবার নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। আজ, শুক্রবার সমাপ্তি অনুষ্ঠান হবে। বৃহস্পতিবার প্রদীপ জ্বালিয়ে উৎসবের উদ্বোধন হয়। উপস্থিত ছিলেন রামকৃষ্ণ মঠ ও মিশনের মহারাজ স্বামী শশধরানন্দজি মহারাজ, অধ্যাপক সত্যজিৎ সাহা, বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক সুবিকাশ মহাপাত্র, অজিত পইড়া, বলাইচরণ শিট, প্রাক্তন ছাত্র ও বিশিষ্ট লোককবি পরেশ বেরা, কেশিয়াড়ি থানার আইসি বিশ্বজিৎ হালদার প্রমুখ। এদিন বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শহিদ ক্ষুদিরাম বসু, রাজা রামমোহন রায় ও শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তির উদ্বোধন হয়। এছাড়াও বিদ্যালয়ে বিজ্ঞান মডেল, হস্তশিল্প, ফুড ফেস্টিভ্যাল, রবীন্দ্র সংগ্রহশালা ইত্যাদি বহু সৃষ্টিশীল কাজের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়।
প্রধান শিক্ষক অনুপম নন্দ বলেন, বর্তমান সরকারের প্রত্যেক প্রতিনিধির আন্তরিক সাহায্য ও সহযোগিতায় বিদ্যালয়কে নতুন আঙ্গিকে, নতুন দিশায় গড়ে তুলেছি। আর এই হীরক জয়ন্তী বর্ষ হল উন্নয়নের মাইলস্টোন, সকল সহকর্মীর আত্মিক বন্ধনের মাইলস্টোন, ছাত্র-শিক্ষক-অভিভাবক ঐক্যের মাইলস্টোন। বিদ্যালয়ের বর্তমান পরিচালন সমিতি, সমস্ত সহকর্মীদের বন্ধুত্বমূলক অনুপ্রেরণা ও সান্নিধ্যই বিদ্যালয়কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার একমাত্র পাথেয়।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্র তথা লোককবি পরেশ বেরা বলেন, আশা রাখছি, আজ প্রাক্তনী পুনর্মিলন উৎসবে অধিকাংশ প্রাক্তনী উপস্থিত হয়ে বর্তমান পড়ুয়াদের সঙ্গে হাতে হাত মেলাবেন। প্রাক্তনীদের কাছে আমন্ত্রণপত্র পৌঁছনোর চেষ্টা চালানো হয়েছে। হয়তো সকলের কাছে তা পৌঁছনো সম্ভব হয়নি। উৎসবের দিনগুলিতে আমাদের সঙ্গে মিলিত হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য সকল প্রাক্তনীকে অনুরোধ করছি।-নিজস্ব চিত্র