সংবাদদাতা, মানকর: শুক্রবার কাঁকসা ব্লকের গোপালপুর ও মলানদিঘি পঞ্চায়েতে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দপ্তরের জলজীবন মিশনের কাজ পরিদর্শন করলেন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক পান্নামবলাম এস। এদিন তাঁর সঙ্গে ছিলেন মহকুমা শাসক সৌরভ চট্টোপাধ্যায়, বিডিও পর্ণা দে এবং জেলাপরিষদের শিক্ষা কর্মাধ্যক্ষ বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। এপ্রিল মাসের মধ্যে কাজ শেষ করে যাতে ব্লকের সমস্ত বাড়িতে জল সরবরাহ করা যায়-তা নিশ্চিত করতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই অভিযোগ করেছিলেন, জলজীবন মিশনের আওতায় নল পাতা হলেও সর্বত্র জল পৌঁছয়নি। কাজের গতি নিয়েও তিনি প্রশ্ন তুলেছিলেন। কেন্দ্রেরই কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ তুলে ওই সমস্ত সংস্থার সঙ্গে আলোচনার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে। শুক্রবার গোপালপুর ও মলানদিঘিতে কাজ পরিদর্শন করে জেলাশাসক। তিনি পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মকর্তাদের সঙ্গেও বৈঠক করেন।
কাঁকসায় বহু জায়গায় এখনও পাইপলাইনের মাধ্যমে পানীয় জল সরবরাহ শুরুই হয়নি। কোথাও এখনও জলের ট্যাঙ্ক তৈরি হয়নি। অনেক জায়গায় রাস্তা করতে গিয়ে পাইপলাইন ফেটে গিয়েছিল। সেই থেকে আর জল মেলে না। এদিন বৈঠকে জেলাশাসক পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতির কর্মকর্তাদের বলেছেন, এপ্রিল মাসের মধ্যে যাতে প্রতিটি বাড়িতে জল পৌঁছে যায়, সেদিকে নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, প্রতিটি গ্রাম ধরে ধরে আলোচনা হয়েছে। আশা করছি, এপ্রিলের মধ্যে বেশিরভাগ কাজ শেষ হয়ে যাবে। তারপরই বাড়ি বাড়ি জল পৌঁছে যাবে।
বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ব্লকে জলজীবন মিশনে ৮০শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে। গ্যাসের পাইপলাইন সহ বিভিন্ন কারণে বাকি কাজ হয়নি। জেলাশাসক পরিদর্শন করায় সেই কাজ গতি পাবে।
বিজেপির বর্ধমান সদর সহ-সভাপতি রমন শর্মা বলেন, বাড়ি বাড়ি জল তো পৌঁছচ্ছে না। তার বদলে পাইপলাইন বসাতে গিয়ে রাস্তা নষ্ট করছে। এসব করে দুর্নীতিবাজ ঠিকাদারদের সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে।
জবাবে তৃণমূলের কাঁকসা ব্লক সভাপতি নবকুমার সামন্ত বলেন, জেলাশাসক নিজে কাজের তদারকি করছেন। তাড়াতাড়ি কাজ শেষ হয়ে যাবে। বিরোধীদের বিরোধিতা করা ছাড়া আর কোনও কাজ নেই।