সংবাদদাতা, পতিরাম: শীতের মরশুমে বালুরঘাটের বিভিন্ন জায়গায় চলছে পিকনিকের হিড়িক। বন্ধুবান্ধব, সপরিবারে আনন্দ করছেন অনেকে। পিকনিকের মরশুমে সবাই আনন্দ করলেও পথপ্রাণীদের জন্য কেউ ভাবেন না। বালুরঘাট শহরে পশুপ্রাণীদের জন্য এবার পিকনিকের আয়োজন করল পশুপ্রেমীরা। সকাল থেকে টোটোতে খাওয়ার তুলে রাস্তা ও জঙ্গলে বিলি করলেন পশুপ্রেমীরা। পিকনিক স্পেশাল খাবারে তৃণভোজী প্রাণীদের পাতে ছিল নিরামিষ খাবার। মাংসাশী প্রাণীর জন্য ছিল আমিষ খাবার। গোরু, ছাগল, ভেড়াকে পালং শাক, বাঁধাকপি এবং অন্য সব্জি খাওয়ানো হয়। সঙ্গে ছিল নিরামিষ খিচুড়ি। কুকুর, বিড়ালদের জন্য ছিল ভাত ও মাংস। জঙ্গলের পাখিদের জন্য ছিল ভেজা ছোলা। শহরের পশুপ্রেমীদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। পশুপ্রেমীদের পাশে দাঁড়িয়েছে জেলার প্রাণিসম্পদ দপ্তর। দপ্তরের ডেপুটি ডিরেক্টর অভিজিৎ মণ্ডল বলেন, পশুপ্রাণীদের জন্য এই উদ্যোগে আমরা সবসময় পাশে আছি। পিকনিক শুরুর আগে পশুপাখিদের নিয়ে একটি সেমিনার করা হয়। সারমেয়, গবাদিপশু এবং জঙ্গলের পশুপাখির ওপর অত্যাচারের বিরুদ্ধে আইন প্রণয়ন নিয়ে সেমিনারে আলোচনা হয়। সেমিনারে ছিলেন শহরের পরিবেশপ্রেমী বিশ্বজিৎ বসাক, পশুপ্রেমী তানিয়া পঞ্চানন, জ্যোৎস্না সুরিন, দশরথ রায়, প্রেমলাল সূত্রধর প্রমুখ। সেমিনার শেষের পর তাঁরাই টোটোয় খাবার তুলে বেরিয়ে পড়েন। শহরের বিভিন্ন জায়গা ঘুরে পশুদের খাবার বিলি করা হয়। পরিবেশপ্রেমী তথা পশুপ্রেমী বিশ্বজিৎ বসাক বলেন, পিকনিকের মরশুমে আমরা সবাই আনন্দ করছি। কিন্তু পশুপাখির পিকনিক হয় না। তাই আমরা এই উদ্যোগ নিয়েছি। সব পশুপাখিকে একসঙ্গে করা খুব মুশকিল। তাই এলাকাভিত্তিক আমরা ওই খাবার বিলি করছি।